বিজেপির সঙ্গে জোটে রাজি নয় টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। —ফাইল চিত্র।
তেলঙ্গানা বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময়ে বারবার রাহুল গাঁধী দাবি করেছেন, কে চন্দ্রশেখর রাও বিজেপির মিত্র। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস নেতা রাও নরেন্দ্র মোদীর ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন বলেও দাবি করেছিল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটের পরেই চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে জোট গ়ড়ার প্রস্তাব দিয়ে বিজেপি তাদের কথাকেই সত্য প্রমাণ করল বলে দাবি কংগ্রেসের। তবে টিআরএস জানিয়েছে, তারা জোটে রাজি নয়।
জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছিলেন চন্দ্রশেখর রাও-ও। তেলঙ্গানা ভোটের প্রচারে মোদী নিশানা করেছেন চন্দ্রশেখর রাও-কে। যোগী আদিত্যনাথ আক্রমণ করেছেন রাওয়ের জোটসঙ্গী আসাদুদ্দিন ওয়েইসিকে। কিন্তু টিআরএস ও আসাদুদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম বিজেপির ‘বি টিম’ ও ‘সি টিম’ হিসেবে কাজ করছে বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস।
বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে টিআরএস। এই পরিস্থিতিতে আজ চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি কে লক্ষ্মণের বক্তব্য, ‘‘টিআরএস যদি ওয়েইসির হাত ছাড়তে রাজি হয় তবে আমরা তাদের সঙ্গে জোট গড়তে তৈরি। কারণ, বিজেপির সমর্থন ছাড়া কেউ রাজ্যে সরকার গড়তে পারবে না।’’ তবে কি কংগ্রেসের দাবিকেই সত্য প্রমাণ করল বিজেপি? লক্ষ্মণের বক্তব্য, ‘‘আমরা টিআরএস ও রাও পরিবারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে আমরা টিআরএস-কে সমর্থন করতে রাজি।’’ টিআরএস মুখপাত্র আবিদ রসুল খানের বক্তব্য, ‘‘আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করি না। টিআরএস তার মিত্রদের পাশেই থাকবে। বিজেপির সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নেই। আমরা একাই সরকার গড়ব।’’
আরও পড়ুন: মোদীর জন্য নয়া বিপদবার্তা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের
কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে রাহুল গাঁধী ঠিক কথা বলেছিলেন। ভোটের পরেই বিজেপি টিআরএসের সঙ্গে জোটের কথা বলতে শুরু করেছে।’’
আরও পড়ুন: সৌজন্য সফর মোদীর, দাবি বিচারপতির
এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করেছে, কংগ্রেস-তেলুগু দেশম-সিপিআইয়ের জোটে ওয়েইসিকে স্বাগত জানিয়েছে রাহুল গাঁধীর দল। ওয়েইসির বক্তব্য, ‘‘এ সবই ভিত্তিহীন জল্পনা। ভোটের ফলের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। কংগ্রেসের প্রস্তাব নিয়ে এখনই মন্তব্য করব না।’’