রিয়াং শরণার্থীরা
মিজোরাম নির্বাচনে রিয়াং শরণার্থীদের ভোটের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করল উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। কাঞ্চনপুর মহকুমার আজকের বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং অন্য আধিকারিকরা।
আগামী কাল মিজোরামের সিইও আশিস কুন্দ্রার নেতৃত্বে নির্বাচনী আধিকারিকদের একটি দল কাঞ্চনপুরে আসবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে থাকা ১১ হাজার রিয়াং
ভোটারদের কী ভাবে মিজোরামে নিয়ে গেয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, তার খুঁটিনাটি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে হবে ত্রিপুরা প্রশাসনের। ত্রিপুরা এবং মিজোরাম সীমাবর্তী কানমুনে রিয়াং শরণার্থীদের জন্য ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিজোরামের সিইও আশিস কুন্দ্রা আগেই জানিয়েছিলেন, মিজোরাম সরকার ও যৌথ মঞ্চের দাবি মেনে উত্তর ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে থাকা ১১ হাজার ভোটারকে মিজোরামের কানমুনে নিয়ে এসে ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা হবে। মামিত জেলার ওই গ্রাম থেকে শরণার্থী শিবিরের দূরত্ব গাড়িতে ঘণ্টা দুয়েক। কিন্তু অতজনকে বুথে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা কে করবে—তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী কাল কাঞ্চনপুরের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
অন্য দিকে, শরণার্থীদের পরিবহণের ব্যবস্থা যাতে কেউ না করে তার জন্য ‘মিজোরাম পিপলস ফোরাম’ সব রাজনৈতিক দলকে সতর্ক করেছে। পাশাপাশি, শরণার্থী সংগঠনের তরফে কুন্দ্রাকে স্মারকলিপি দিয়ে বলা হয়েছে, এতটা রাস্তা গিয়ে মিজোরামে ভোট দিয়ে আসা শিবিরবাসীদের পক্ষে নিরাপদ নয়। তাই শিবিরেই বুথের ব্যবস্থা করা হোক। উল্লেখ্য, এত দিন শরণার্থীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতেন।