ছতরপুরের জনসভায় নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
নির্বাচনী লড়াইয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ। তাতে চটলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করলেন তিনি। অভিযোগ তুললেন, সামনাসামনি লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই, তাই ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর। ইনদওরের সভা থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বসেন তিনি। টাকার দাম নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেন। সেই প্রসঙ্গে টেনে আনেন মোদীর ৯৭ বছরের মাকেও। তিনি বলেন, ‘‘একসময় মনমোহন সিংহকে নিয়ে ঠাট্টা করতেন মোদী। বলতেন টাকার দাম পড়তে পড়তে তাঁর বয়সে এসে ঠেকেছে। আজ পরিস্থিতি দেখুন। ডলার প্রতি টাকার দাম এতটাই পড়ে গিয়েছে,যে মোদীর মায়ের বয়স ছুঁয়ে ফেলেছে।’’
তাঁর সেই মন্তব্যে বেজায় চটেছেন নরেন্দ্র মোদী। শনিবার মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একটি জনসভায় কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেতিনি বলেন, ‘‘বিগত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ছি। প্রতি পদে ওদের হারিয়েছি আমি। এখন নির্বাচনী মরসুম চলছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাচ্ছে না ওরা। তাই আমার মাকে টেনে এনেছে শেষ পর্যন্ত। তাঁকে নিয়ে কটূক্তি করছে।’’ মধ্যপ্রদেশের মানুষ তাঁর মায়ের এই অপমান মেনে নেবেন না বলেও মন্তব্য করেন মোদী। আসন্ন নির্বাচনেই মুখের মতো জবাব দেবেন বলে দাবি করেন মোদী।
ছতরপুরের জনসভায় কংগ্রেসকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ‘বার্লিন পাঁচিল ভাঙবে, কেউ ভেবেছিলেন? কর্তারপুর করিডরও হবে ভারত-পাক সম্পর্কের সেতু’
আরও পড়ুন: বক্সীর ফোন শোভনকে, বললেন দেখা করতে, উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত?
রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি মোদীকে ‘মোগ্যাম্বো’ বলে উল্লেখ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ দিন উল্টে কংগ্রেসকেই দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টি বলে আক্রমণ করেন মোদী। অভিযোগ তোলেন, ‘‘কংগ্রেসের মজ্জায় মজ্জায় দুর্নীতি। জামিন নিয়ে অনেকেই গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বটে। তবে দুশ্চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে ওঁদের। মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করবেই। কারণ, সনিয়া ম্যাডামের সরকার থাকাকালীনই ব্যাঙ্ক খালি করে ধনীদের পকেট ভরিয়ে দেওয়া হয়। আমরা কিন্তু তা করিনি। বরং যুব সমাজের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা খুলে দিয়েছি।’’ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগও তোলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘বিভাজনের রাজনীতি করে কংগ্রেস। তাই ১৫ বছর আগে ওদের রাজ্য থেকে বিদায় করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ।’’
আগামী ২৮ নভেম্বর ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট। তবে মানুষ কাকে বেছে নিয়েছেন তা জানা যাবে ১১ ডিসেম্বর। ওইদিনই ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।