রাজস্থানে ভোট আসতেই ফের সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরার নাম টেনে আনল বিজেপি।
বঢরাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রাজস্থানের ভোট প্রচারে খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ সকাল থেকে বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে রাহুল গাঁধীর জবাব চাইলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা-সহ বিজেপি নেতারাও দিল্লিতে অভিযোগ করলেন, দুর্নীতির টাকা পৌঁছেছে সনিয়া-রাহুলের কাছেও। জবাবে রবার্ট তো বটেই, কংগ্রেসের নেতারাও আজ বললেন— ভোট এলেই আসল বিষয় থেকে মুখ ঘোরাতে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতির কৌশল নেয়।
রাজস্থানের ভোট সভায় অমিত আজ বলেন, ‘‘বিকানেরে নামমাত্র দামে জমি কিনে তা কোটি টাকায় বেচে গাঁধী পরিবারের জামাইয়ের সংস্থা মুনাফা করেছে। সেই কমিশন কোথায় গেল? কংগ্রেস সভাপতিকে প্রশ্ন করতে চাই, এর জবাব দেবেন?’’
আরও পড়ুন: ‘আরও একটা হেলিকপ্টার নেমে আসুক’
দিল্লিতে বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করে, বিকানেরে ৭০ হেক্টর জমি বঢরা ৭২ লক্ষ টাকায় কিনে দু’বছর পরে ৫ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। যে সংস্থাটি বঢরার এই জমি কিনেছে, তারা আর একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে। আর সেই সংস্থাটি আগেই আয়কর দফতরের নজরদারিতে ছিল। কিন্তু ইউপিএ জমানায় সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর প্রভাব খাটিয়ে বঢরা আয়কর, জরিমানা ও সাজা থেকে তাদের রেহাই পাইয়ে দেন।
রবার্ট আজ বলেন, ‘‘এই মামলা এখন বিচারাধীন। গত চার বছর ধরে সরকারি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছি, সব কিছুর জবাব দিয়েছি। এখন রাজস্থানে ভোটে হারের ভয়ে, বেকারি, অপশাসন, রাফাল কেলেঙ্কারি থেকে নজর ঘোরাতে প্রতিহিংসায় নেমেছে সরকার। এ’টি তাদের প্ল্যান-বি।’’ কংগ্রেসের নেতা আহমেদ পটেলেরও বক্তব্য, ‘‘ভোটের আগে এ সব বিষয় তোলার একটি চল হয়েছে। হাতে প্রমাণ নেই, তদন্তও শেষ হলো না, কিন্তু কারও বদনাম করে দেওয়া গেল।’’ অমিত শাহের অবশ্য দাবি, বিজেপি কখনওই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।
রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করে সামনের সপ্তাহে ভোটে যাচ্ছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারেরও সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত। গোটা সরকারিতন্ত্র কেন্দ্র ও রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে। প্রশ্ন হল— যদি সরকারের হাতে প্রমাণই থাকে, তা হলে এত দিন কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন? বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি আমলেই এফআইআর হয়েছে। তদন্তও চলছে।’’ কংগ্রেস বলছে— যদি তা-ই হয়, তার পরেও ভোটের মুখে বার বার একই অভিযোগ তোলা কেন?