মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার পর ভূপেশ বাঘেল। —নিজস্ব চিত্র
পাঁচ দিনের টানাপড়েনের অবসান। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেশ বাঘেল। ঘোষণা করলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। শপথগ্রহণ আগামিকাল, সোমবার।
মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানের জট কাটার পর শনিবারই ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার কথা ছিল। শনিবার দিনভর দফায় দফায় ঝাড়খণ্ডের নবনির্বাচিত বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার চার জনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গাঁধী। চার জনের সঙ্গে নিজের ছবিও পোস্ট কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে।
কিন্তু পরপর সেই বৈঠকেও জট কাটানো সম্ভব হয়নি। এর পর রবিবার রায়পুরে রাজীব ভবনে বৈঠকে বসেন নব-নির্বাচিত বিধায়করা। সেই বৈঠকেই পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন বাঘেল।
আরও পড়ুন: ‘দেশবাসীকে ভুল বুঝিয়েছেন রাহুল’, রাফাল নিয়ে ৭০ সাংবাদিক বৈঠক করে বোঝাবে বিজেপি
বাঘেলের সঙ্গেই দৌড়ে ছিলেন অনুরাগ সিংহদেও, চরণদাস মহন্ত ও তাম্রধ্বজ সাহু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রদেশ সভাপতি তথা ওবিসি নেতা ভূপেশ বাঘেলকেই বেছে নিল কংগ্রেস। দলের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে মিশে এবং উজ্জীবীত করে যেভাবে তিনি দলকে টেনে তুলেছেন এবং বিজেপির ১৫ বছরের সরকারকে উৎখাত করেছেন, বাঘেল তারই পুরস্কার পেলেন বলে মত রাজনৈতিক শিবিরের।
আরও পডু়ন: জনসন বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস! রিপোর্টে বিতর্ক
মধ্যপ্রদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে দু’টি আসন কম পেয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানেও ৯৯ আসন নিয়ে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছে দল। কিন্তু এই দফায় পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মধ্যে ছত্তীসগঢ়েই সবচেয়ে ভাল ফল কংগ্রেসের। ৯০ আসনের মধ্যে ঝুলিতে ৬৮টি আসন। আর সেই রাজ্যেই সবার শেষে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস। যদিও সব পক্ষকে সন্তুষ্ট রেখে এবং লোকসভা ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেসব মাথায় রেখে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন ছিল রাহুলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, সেই চ্যালেঞ্জ দক্ষ হাতেই মোকাবিলা করেছেন রাহুল।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)