অমিত, অখিলেশ, আজম এবং জয়ন্ত। ফাইল চিত্র।
মুজফ্ফরনগরে ভোট প্রচারে গিয়ে সঙ্ঘাতের স্মৃতি উস্কে দিলেন অমিত শাহ। শনিবার বিজেপি-র প্রচারসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) জিতলে অখিলেশ যাদব মন্ত্রী করবেন অপরাধমূলক মামলায় জেলবন্দি নেতা আজম খানকে। কিন্তু এপি-র সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-র সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর ঠাঁই হবে না সেই মন্ত্রিসভায়।
২০১৩ সালে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর, শামলি, কইরানা-সহ বিভিন্ন এলাকা গোষ্ঠী সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছিল। তার পরেই সেখানে জাঠ এবং মুসলিম ভোটের মেরুকরণ ঘটে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে ধারাবাহিক ভাবে সেই মেরুকরণের সুফল পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের জেরে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত। এই আবহে ফের মেরুকরণের হাওয়া তুলতেই শাহের এমন মন্তব্য বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের।
‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারে গিয়ে এসপি-প্রধান অখিলেশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেও জয়ন্তকে নিশানা করেননি শাহ। বরং প্রয়াত জাঠ নেতা অজিত সিংহের ছেলেকে ‘ভাই’ বলেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, অখিলেশ এবং জয়ন্তর এই রাজনৈতিক সহযোগিতা কেবল বিধানসভা ভোটের গণনা পর্যন্ত।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারে গিয়ে শুক্রবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে নিশানা করেছিলেন। শনিবার সমাজবাদী জমানার সঙ্গে বিজেপি শাসনের আইনশৃঙ্কলা পরিস্থিতির ‘তুলনামূলক পরিসংখ্যান’ পেশ করে শাহ বলেন, ‘‘অখিলেশবাবুর লজ্জাও নেই, গতকাল তিনি বলেছেন যে এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল নয়। অখিলেশবাবু, আজ আমি একটি প্রকাশ্য কর্মসূচিতে তথ্য দিচ্ছি। যদি আপনার সাহস থাকে, আগামীকাল প্রেস কনফারেন্সে আপনার আমলের সরকারি পরিসংখ্যান ঘোষণা করুন।’’