ছবি: সংগৃহীত।
প্রশাসনিক ভবনে সপ্তাহহভর তালা ঝুলিয়ে রাখার জেরে ছাত্রনেতা মিলন দাসকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। শাস্তি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁর প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মিলনবাবু ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষক এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক সংস্থার সভাপতি। আগামী দু’বছর গবেষক হিসাবে কোনও কাজ করতে পারবেন না তিনি।
অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পিনাকপাণি নাথ পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে তাঁর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক সংস্থা। মিলনবাবু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তাঁরা টানা ৭ দিন তালা ঝুলিয়ে রাখেন। কাজকর্ম পুরো বিঘ্নিত হয়। এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের সারা রাত বেরোতেও দেওয়া হয়নি। আরও অভিযোগ, উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথকে দফায় দফায় অপমান করেন মিলন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযওগ দায়েরেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রদোষকিরণ নাথ শাস্তির এই আদেশ জারি করেছেন। তাতে একপক্ষ খুশি। তাদের বক্তব্য, মিলন দাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিলেন। অন্য পক্ষ মনে করেন, ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে কর্তৃপক্ষের যে অনমনীয় মনোভাব দেখা যাচ্ছে, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ও এর থেকে দূরে থাকতে পারেনি। মিলন দাস অবশ্য সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত।