দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার অসম লোকসেবা আয়োগের চেয়ারম্যান রাকেশ পালকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আদালত।
পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশবাবুর গুয়াহাটির তিনটি বাড়ি ও বাঘবরের বাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানান, গত রাতে তাঁর বাড়ি থেকে একটি গাড়ি একাধিক বার মালপত্র নিয়ে অন্যত্র রেখে আসে। গাড়িতে ছিলেন রাকেশবাবুর স্ত্রী। পুলিশ পালের ভাঙাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি করে নগদ টাকা পায়নি। পেয়েছে দুই বাক্স এপিএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র। দেখা গিয়েছে প্রতি পরীক্ষার্থীর দু’টি করে উত্তরপত্র রয়েছে বাক্সে। পুলিশ রাকেশবাবুর গাড়ি চালক অপূর্ব দাসকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, রাকেশবাবুর তদারকিতে মোটা টাকার বিনিময়ে অনুত্তীর্ণ বা ভাল পরীক্ষা না দেওয়া পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র নতুন করে তৈরি করা হতো। ডিব্রুগড়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত নবকান্ত পাতির জেরায় জানিয়েছেন, তিনি গত দু’বছর বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা সংগ্রহ করে রাকেশবাবুকে দিয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, aপাতিরের মতো আরও লোক বিভিন্ন জেলায় রেখেছিলেন রাকেশবাবু। তাঁদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানায়, এপিএসসির ঘুষচক্রে জড়িত আরও অনেক সরকারি কর্তা ও কর্মী গ্রেফতার হতে পারেন। ঘুষ দিয়ে কারা চাকরি পেয়েছেন, সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানান, তুরার একটি কলেজ থেকে আইনের স্নাতক রাকেশবাবু গুয়াহাটির সিজেএম আদালতে নোটারির কাজ করতেন। বরাকের এক নেতার হাত ধরে তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ঘনিষ্ঠ হন। ২০০৮ সালে গগৈ তাঁকে এপিএসসির সদস্য করেন। ২০১২ সালে আয়োগ
অধ্যক্ষ গীতা বসুমাতারি অবসর নেওয়ার পর ওই পদে রাকেশ পালকে নিয়োগ করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলি রাকেশবাবুর বাড়বাড়ন্তর জন্য গগৈকে দায়ী করলেও, আজ গগৈ উল্টে দাবি করেন— তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতি ছিল না। নতুন সরকারের আমলেই এ সব দুর্নীতি শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে গগৈ জানান, সাহস থাকলে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।