National News

‘অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য হতে পারে না ভারত’, অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র

কেন্দ্রের যুক্তি, খসড়া তালিকায় রয়েছেন এবং বাদ পড়েছেন এমন অনেক নাগরিকের তথ্য-প্রমাণ নমুনা হিসেবে নিয়ে যাচাই করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বহু প্রকৃত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৭
Share:

তালিকায় নাম আছে কি না, জানতে এঅসমের একটি নাগরিকপঞ্জি কেন্দ্রে ভিড় সাধারণ মানুষের। ছবি: রয়টার্স

অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হিমশিম অবস্থা সরকারের। লোকসভায় আগেই সে কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। এ বার সুপ্রিম কোর্টেও প্রায় একই কথা বলে আরও সময় চাইল কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, খসড়া তালিকায় বহু এমন মানুষ ঢুকে পড়েছেন, যাঁদের পর্যাপ্ত নথিপত্র নেই। আবার অনেক প্রকৃত ভারতীয়ও তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাই ৩১ জুলাইয়ের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। ‘ভারত অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য হতে পারে না’— মন্তব্য সলিসিটর জেনারেলের।

Advertisement

অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের দিন নির্ধারিত হয়েছে ৩১ জুলাই। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা যে কার্যত অসম্ভব, সেটা আগেই সংসদে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, নির্ভুল তালিকা তৈরি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হবে। শুক্রবার সেই আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন তুষার মেটা।

কেন সম্ভব নয়? কেন্দ্রের যুক্তি, খসড়া তালিকায় রয়েছেন এবং বাদ পড়েছেন এমন অনেক নাগরিকের তথ্য-প্রমাণ নমুনা হিসেবে নিয়ে যাচাই করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বহু প্রকৃত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। আবার পর্যাপ্ত নথি নেই এমন অনেকেও তালিকায় ঢুকে পড়েছেন। ফলে এই অল্প দিনের মধ্যে পুরো তালিকা যাচাই করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্ভুল ও চূড়ান্ত তালিকা তৈরি সম্ভব নয় বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল।

Advertisement

আরও পডু়ন: ‘এত নির্লজ্জ আপনি, এখনও চেয়ার আঁকড়ে আছেন!’, বনগাঁর পুর চেয়ারম্যানকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির

আরও পড়ুন: ‘আকাশ থেকে পড়বে না ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতি’, নির্মলার দাবি নিয়ে তির্যক মন্তব্য প্রণবের

কিন্তু এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে এত দিন ধরে তালিকা তৈরির পরও তাতে গলদ হল কী ভাবে? কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। ওই সব এলাকায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রভাব খাটানোর জেরেই অনেক ‘অভারতীয়’ নাগরিকপঞ্জিতে ঢুকে পড়েছেন, দাবি তুষার মেটার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement