ছবি: পিটিআই।
প্রশ্ন: এনআরসি তালিকায় বাদ পড়লে কি বিদেশি?
উত্তর: সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিদেশি বলা যাবে না। ১২০ দিনের মধ্যে তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন। সেখানে ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট। ১০০টি ট্রাইবুনাল কাজ করছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে অসমে আরও ২০০টি ট্রাইবুনাল কাজ শুরু করবে। মোট এক হাজার ট্রাইবুনাল স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে।
প্র: গরিব মানুষরা আইনি খরচ জোগাবেন কোথা থেকে?
উ: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আইনি সহায়তা দেবে। জেলা লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি, লিগাল এড সার্ভিসের মাধ্যমে সহায়তা। বিজেপি, কংগ্রেস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সহায়তা দিচ্ছে।
প্র: রাজ্য সরকারের অভিযোগ, তালিকা ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা?
উ: বিজেপির কয়েক জন নেতা-মন্ত্রী প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন, হিন্দু বাঙালিদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, প্রকৃত ভারতীয়দের তালিকাভুক্ত করা ও ভুয়ো নাগরিকদের তালিকা থেকে বের করার জন্য কেন্দ্র আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে। উল্লেখ্য, বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে তা সংসদে পাশ করানো বিজেপির ঘোষিত লক্ষ্য বলে শাহ আগেই জানিয়েছেন।
কে কোথায় দাঁড়িয়ে
• মোট আবেদন জমা পড়েছিল: ৩,২৯,৯১,৩৮৪
• প্রথম ও চূড়ান্ত খসড়া মিলিয়ে নাম ওঠে: ২,৮৯,৮৩,৬৬৭
• খসড়াছুট মানুষ: ৪০,০৭,৭০৭
• ফের আবেদনের সুযোগ নেননি যাঁরা: ৩,৯৬,০০০
• ২৬ জুন প্রকাশিত খারিজের তালিকা: ১,০২,৪৬২
তাঁদের ফের আবেদনের সুযোগ
• ফলে আজ যাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ: ৩৬,১১,৭০৭
প্র: অসমে উত্তেজনা রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা?
উ: কেন্দ্রীয় সরকার ২০০ অতিরিক্ত কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী অসমে পাঠিয়েছে। গুয়াহাটি-সহ সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অসম পুলিশ আবেদন করেছে। জেলায় জেলায় সতর্কতা জারি। বিশেষ নজর সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল বলেছেন, যাঁদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে না, তাঁরাও ভারতীয়ত্ব প্রমাণের পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন। সরকার এ ব্যাপারে দায়বদ্ধ।