জামিনে মুক্ত ‘বিদেশি’-কে ফের নোটিস

আকবর জানান, ওই আদালত সাত বছর আগেও তাঁকে সন্দেহজনক বিদেশির নোটিস দেয়। ২০১২ সাল থেকে মামলা লড়ছেন তিনি।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৭
Share:

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, রাজ্য সরকার নতুন নিয়মে তিন বছরের বেশি ডিটেনশন শিবিরে বন্দি থাকা ‘বিদেশি’দের শর্তসাপেক্ষ জামিনে মুক্তি দিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।

প্রায় চার বছর ডিটেনশন শিবিরে বন্দি থাকার পরে গত ২১ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া শর্তসাপেক্ষে দুই গ্যারান্টার ও ২ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন বঙাইগাঁও জেলার বাসিন্দা আলি আকবর। কিন্তু তাঁর স্বস্তি ক্ষণস্থায়ী হল। কারণ ৮ দিনের মাথায় ফের সেই একই ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের কাছ থেকে ‘সন্দেহজনক বিদেশি’র নোটিস পেলেন আকবর!

Advertisement

তাঁকে সব প্রমাণপত্র নিয়ে ১০ ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। আকবর জানান, ওই আদালত সাত বছর আগেও তাঁকে সন্দেহজনক বিদেশির নোটিস দেয়। ২০১২ সাল থেকে মামলা লড়ছেন তিনি। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙাইগাঁও ২ নম্বর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল তাঁর জমা দেওয়া প্রমাণপত্রগুলিতে গোলমাল থাকার অভিযোগে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করে। তখন থেকেই আকবর গোয়ালপাড়া জেলে বন্দি ছিলেন। পরে হাইকোর্টেও তাঁর হার হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, রাজ্য সরকার নতুন নিয়মে তিন বছরের বেশি ডিটেনশন শিবিরে বন্দি থাকা ‘বিদেশি’দের শর্তসাপেক্ষ জামিনে মুক্তি দিচ্ছে। সেই নিয়মেই ২১ নভেম্বর আকবর জেল থেকে বাড়ি ফেরেন।

কিন্তু ২৯ নভেম্বর ফের একই আদালত থেকে নোটিস পেয়ে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। নোটিসটি জারি হয়েছিল ২০ নভেম্বর তারিখে। আকবর জানান, এত বছর ধরে মামলা লড়ে তিনি নিঃস্ব। ইতিমধ্যে তিনি এক জোড়া মোষ ও ৬টি গরু বিক্রি করে দিয়েছেন। ফের মামলা লড়ার বা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানানো হয়, ইতিমধ্যে ঠিকানা বদল করার ফলেই হয়তো ফের তাঁর নামে নোটিস চলে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement