প্রতীকী ছবি।
পজ়িটিভ-নেগেটিভ নিয়ে আগে থেকেই বিভ্রান্ত ছিলেন ছেলে৷ তাই ১৮ অগস্ট বাবাকে কোভিড ব্লকে ভর্তি করানোর পরেও দফায় দফায় যান খোঁজ নিতে৷ 'বাবা ভাল আছেন' বলে ১৯ তারিখে তাঁকে প্রায় তাড়িয়েই দেওয়া হয়৷ শুক্রবারও প্রায় একই ধরনের ঘটনা৷ তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এক স্বাস্থ্যকর্মী বললেন, ‘‘বৃদ্ধকে আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছি৷’’ অসমের কাছাড় জেলার শ্রীকোণার বাসিন্দা ওই যুবক গোঁ ধরেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না বলে ফিরবেন না৷ হইচই শুনে বেরিয়ে আসেন এক নার্স৷ খাতার পাতা উল্টে জানিয়ে দেন, তাঁর বাবা রণেন্দ্র দেব ১৯ অগস্ট মারা গিয়েছেন৷ মৃতদেহ এখন মর্গে রয়েছে৷ কোভিড প্রোটোকল মেনে তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হবে৷
ওই যুবকের বক্তব্য, ‘‘কথাটা শুনে কী করব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না৷ বাবা নেই, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল৷’’ তিনি জানান, ‘‘কিছু দিন ধরে বাবার শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে জানানো হয়, তিনি নেগেটিভ৷ দু-দিন পরে মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর ল্যাবরেটরি টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ৷ নিশ্চিন্ত হন পরিবারের সবাই৷"
১৮ অগস্ট ফের ফোন৷ বলা হয়, তিনি আসলে পজ়িটিভ৷ আধ ঘণ্টার মধ্যে গাড়ি গিয়ে তাঁকে মেডিক্যালে নিয়ে আসবে৷ সারা দিনেও গাড়ি যায়নি৷ শেষে তাঁরাই তাঁকে মেডিক্যালে নিয়ে যান৷
মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত বলেন, "মৃত্যুর পরই ডাক্তাররা ফোন করে বাড়িতে জানিয়ে দেন৷ এই রোগীর ক্ষেত্রেও চেষ্টা হয়েছিল, ফোনে পাননি৷’’