জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ৪২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করল অসমের স্বাস্থ্য বিভাগ। তার মধ্যে করিমগঞ্জ জেলার ১৫ জন, কাছাড়ের ১৬ এবং হাইলাকান্দির ১১ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের অনেকে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট-সহ অন্য পদে কর্মরত ছিলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের যুক্তি, ওই সব পদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। সে জন্যই কর্মী-সঙ্কোচের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪২ জন সহকর্মীর ছাটাইয়ের নির্দেশের জেরে কাজ হারানোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কর্মরত অন্যদের মধ্যেও। তাঁদের বক্তব্য, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এ ভাবে ছাটাই করা হলে ভবিষ্যতে অন্যদের সঙ্গেও তেমন ঘটতে পারে। রাজ্য সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য মিশনের কর্মীরা। তাঁদের অনেকের বক্তব্য, কালো টাকা উদ্ধারের জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার প্রভাব পড়েছে দেশের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের উপর। চাকরি হারাচ্ছেন অনেকে। সংসার চালাতে সমস্যার মুখে পড়ছেন। সরকারি বিভাগেও টাকা বরাদ্দ না থাকার কথা বলে ছাঁটাই করা হচ্ছে কর্মীদেরও। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কর্মীদের একাংশকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এ ভাবে তাঁদের চাকরি হারাতে হবে, তা ভাবতে পারছেন না কেউ-ই। তাঁদের বক্তব্য, টাকা বরাদ্দ না থাকলে নিয়োগ কেন করা হল। সরকারকে এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বরাকের সমস্ত যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালকের দফতরে ওই ৪২ জন কর্মীর নামের তালিকা পৌঁছে গিয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে দু-একদিনের মধ্যেই তাঁরা চাকরি হারাবেন।
সীমান্তে আমলা। করিমগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করতে আসবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব মধুকর গুপ্ত। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শনিবার করিমগঞ্জের ভাঙ্গা থেকে সুতারকান্দি পর্যন্ত স্থল এবং জল সীমান্ত তিনি পরিদর্শন করবেন। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করবেন।