Goalpara

Goalpara: ডিটেনশন শিবির: সময়সীমা মানতে ব্যর্থ অসম

২০১৮ সালে মাটিয়ায় ২৫ একর জমিতে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন হাজার আবাসিককে রাখার মতো ডিটেনশন শিবির তৈরির কাজ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৩৪
Share:

২০০৮ সালে রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি করে অংশে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করে ঘোষিত বিদেশিদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফাইল চিত্র।

গৌহাটি হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া ৪৫ দিনের সময়সীমার মধ্যে রাজ্যে ৬টি ডিটেনশন শিবিরে বন্দি ১৭৭ জনকে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন শিবিরে পাঠাতে পারল না অসম সরকার।

Advertisement

২০০৮ সালে রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি করে অংশে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করে ঘোষিত বিদেশিদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে হাই কোর্ট রাজ্যে পৃথক ডিটেনশন সেন্টার তৈরির নির্দেশ দেয়। ২০১৮ সালে মাটিয়ায় ২৫ একর জমিতে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন হাজার আবাসিককে রাখার মতো ডিটেনশন শিবির তৈরির কাজ শুরু হয়। ১১ অগস্ট হাই কোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, যোরহাট, কোকরাঝাড়, তেজপুর ও শিলচরের কারাগারে বন্দি সব বিদেশিদের মাটিয়ায় নির্মীয়মাণ ডিটেনশন শিবিরে পাঠাতে হবে। তাঁদের আর সাধারণ কারাগারে রাখা চলবে না। কিন্তু সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ডিটেনশন শিবির তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। ৯০ শতাংশ কাজ হলেও রাজ্য সরকারের তরফে বাকি কাজ ও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে আরও সময় চাওয়া হয়েছে।

হাই কোর্টের বিচারপতি কল্যাণ রায় বরুয়া অগস্টের নির্দেশে বলেছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরেও অ্যাডভোকেট জেনারেল সময় চাওয়ায় আরও ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ডিটেনশন সেন্টারের নাম বদলে করে দিয়েছে, ট্রানজ়িট ক্যাম্প ফর ডিটেনশন পারপাস। এত বড় ডিটেনশন শিবির ওরফে ট্রানজ়িট শিবির তৈরি হলেও করোনার পরে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ডিটেনশন শিবিরের সহস্রাধিক বন্দির মধ্যে অগস্ট পর্যন্ত ১৭৭ জন বাদে বাকি সকলেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। দু’বছরের মেয়াদ পার হলে বাকিদেরও জামিন হয়ে যাবে।

Advertisement

এ দিকে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষাধিকের নাম বাদ পড়লেও এখনও তালিকা চূড়ান্ত করেনি আরজিআই। নাম বাদ পড়াদের রিজেকশন লেটারও পাঠাতে পারেনি এনআরসি দফতর। তাই শুরু হয়নি বিচার প্রক্রিয়াও। নতুন ২০০টি ফরেনার্স ট্রাইবুনালে জরুরি ভিত্তিতে নিযুক্ত ২০০ জন সদস্য এখন আগের ঝুলে থাকা মামলাগুলির বিচার সারছেন। তার মধ্যেই রাজ্য সরকার ও রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে এনআরসির তথ্য রি-ভেরিফিকেশনের দাবি তুলেছে। অথচ সুপ্রিম কোর্টে ২০২০ সালের জানুয়ারির পরে থেকে এনআরসি মামলার কোনও শুনানি হয়নি।

তাই এনআরসি কবে হবে, নাম বাদ পড়া কত জনকে, কবে শেষমেষ বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করবে আদালত এবং মাটিয়ায় নির্মীয়মাণ ট্রানজ়িট শিবিরে আদৌ কত জন আবাসিক থাকবেন, সেই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে ঢের দেরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement