এ পি জে আব্দুল কালামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক চলাকালীন ঝুমুর নেচে, গল্ফ খেলে বিতর্কে জড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, আজ গোলাঘাটের বোকাখাটে হাতিকুলি চা বাগানে একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেন গগৈ। এরপর যান নগাঁও জেলার মিসায় একটি পর্যটন ক্লাবের উদ্বোধনে। হাতিকুলি চা বাগানে হাসপাতাল উদ্বোধনের পর, বাগান শ্রমিকদের মেয়েদের সঙ্গে ঝুমুর নাচে অংশ নেন গগৈ। খানিকক্ষণ চলে নাচগান। মিসায় ক্লাব উদ্বোধনের পর গল্ফ খেলেন গগৈ। খেলেন স্নুকারও।
গগৈয়ের নাচ, খেলার ছবি টিভিতে সম্প্রচারের পরই বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করে। প্রদেশ কংগ্রেসও মেনে নেয়, শুধু কালামই নন, গগৈয়ের দীর্ঘদিনের সতীর্থ তথা যোরহাটের প্রাক্তন সাংসদ বিজয়কৃষ্ণ সন্দিকৈও চার দিন আগে মারা গিয়েছেন।
তাই গগৈয়ের নাচ ও গল্ফ খেলা উচিত হয়নি।
বিতর্কের মুখে পড়ে এ দিন সন্ধেয় ক্ষমা চেয়ে নেন গগৈ। তিনি বলেন, ‘‘গল্ফ খেলায় রাষ্ট্রীয় শোকের প্রথা ভঙ্গ করা হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে চা বাগানে গিয়ে ঝুমুর নাচ করা ঠিক হয়নি।’’
অসম গণ পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি অতুল বরা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। এ পি জে আব্দুল কালামের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য দিতে তিনি নিজে বিমানবন্দরে গেলেন। এত স্মৃতিচারণ করলেন। তার পর দিনই কী ভাবে তিনি নাচগান করতে পারেন!’’
প্রধান বিরোধী দল এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মাথা। বয়সের ভারে তাঁর সব ভুলে গেলে তো চলবে না। কালামকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব ভুলে তিনি নাচবেন, খেলবেন— তা ভাবাই যায় না। এর ফলে গোটা দেশের কাছে অসমের মাথা হেঁট হল।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের মতে, গগৈয়ের এমন কাজ বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দেয়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তাঁর উল্লাস প্রকাশে সতর্ক থাকা উচিত ছিল। এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াই তাঁর ঠিক হয়নি।