খান্ডু এবং হিমন্ত। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
মেঘালয়ের পর এ বার অরুণাচল প্রদেশ। আর এক পড়শি রাজ্যের সঙ্গে সীমানা বিবাদের সমাধানে উদ্যোগী হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই উদ্দেশ্যে শনিবার অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সঙ্গে একটি সমঝোতা সই করেছেন তিনি।
সমঝোতা সইয়ের পর দুই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, গোড়ায় মোট ১২৩টি গ্রামের অবস্থান নিয়ে মতোবিরোধ থাকলেও আলোচনার ভিত্তিতে তা ৮৬তে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সমাধান হয়েছে ৩৭টি গ্রাম নিয়ে বিরোধেন। এর মধ্যে ২৮টি গ্রাম অরুণাচলকে ছাড়তে রাজি হয়েছে অসম। বিনিময়ে অরুণাচল ৩টি গ্রামের অবস্থান অসমের ভৌগোলিক সীমানার অন্দরে বলে মেনে নিয়েছে। বাকি ছ’টি গ্রাম অসমের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে নয় বলে মেনে নিয়েছে হিমন্ত সরকার। সেগুলি অরুণাচলে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি গ্রামগুলির ‘মালিকানা’ নিয়েও বিতর্কের সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৪ জানুয়ারি এবং ২০ এপ্রিল সীমানা সমস্যা নিয়ে দু’দফায় বৈঠক করেছিলেন হিমন্ত-খান্ডু। সেখানে দুই রাজ্যের সীমানা অঞ্চলের ঐতিহাসিক প্রেক্ষপট, নৃতাত্ত্বিক গঠন, স্থানীয় মানুষের মত এবং ২০০৭ সালে স্থানীয় কমিশনের সামনে আসা সীমানা সংক্রান্ত অভিযোগে যাচাই করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
সীমানা বিবাদের জেরে গত বছরের জুলাই মাসে অসম এবং মিজোরামের পুলিশ বাহিনীর গুলির লড়াই বেধেছিল। অসমের কাছাড় জেলার ইনার লাইন সংরক্ষিত অরণ্যে দুই রাজ্যের পুলিশের গুলির লড়াইয়ে অসমের সাত জন পুলিশকর্মী নিহত হয়েছিলেন। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগে অসমের সঙ্গে পড়শি রাজ্যগুলির সীমানা বিবাদের সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত মার্চে শাহের উপস্থিতিতে হিমন্ত এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা সীমানা বিবাদের সমাধান সংক্রান্ত একটি সমঝোতায় সই করেন।