Asian Paints

Asian Paints People of Pujo: দুর্গাপুজোর ৬ নেপথ্য নায়কদের নিয়ে ফের হাজির এশিয়ান পেইন্টস

কলকাতার দুর্গাপুজোর নেপথ্যে থাকা ছ’জন অচেনা নায়কদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছরের মতো এবারও এশিয়ান পেইন্টস হাজির হল শারদ সম্মান পিওপল অব পুজো সিজন ৫।

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৪৩
Share:

দুর্গাপুজোর ৬ নেপথ্য নায়ক

পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে সব্বাই। আলোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে শহর কলকাতা। সেই আলো ঝলমলে শহরের ভিড়ে প্রায়শই হারিয়ে যায় বাঙালির সব থেকে বড় পুজোর নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা। আসলে তাঁরা কেউই সাধারণ নয়। এঁরা প্রত্যেকেই নায়কের বেশে হাজির হন পুজোর আগে। শহরকে সাজিয়ে তোলেন। আবার মিলিয়েও যান সমাজে। কলকাতার পুজোর নেপথ্যে থাকা এই অচেনা নায়কদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছরের মতো এবারও এশিয়ান পেইন্টস হাজির হল শারদ সম্মান পিওপল অব পুজো সিজন ৫। এই বছরও ৬ জন নেপথ্য নায়কের গল্প তুলে ধরা হয়েছে সিজনের মাধ্যমে। যাঁদের শিল্প কলকাতার দুর্গাপুজোকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে।

এশিয়ান পেইন্টসের এই ক্যাম্পেইনটি প্রথম শুরু হয় ২০১৬ সালে। এই উদ্যোগটি নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জীবনকে উদযাপন করেছে, যাঁদের নিরন্তর প্রচেষ্টা বাংলার দুর্গাপুজোকে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে বিশেষ করে তুলেছে৷ তাঁদের কাছে পুজো কোনও উৎসব নয়; এটি আসলে তাঁদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে অংশ। এই সমস্ত ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা না থাকলে হয়তো দুর্গাপূজোর জাঁকজমকই নষ্ট হয়ে যেত। সহজ করে বললে, পুজোর সেই নেপথ্য নায়কদের সঙ্গে নিয়ে এশিয়ান পেইন্টস তাঁদের জীবন উদযাপন করছে। যাঁরা নিঃশর্তভাবে এই পুজোর প্রতিটি উদযাপনে তাঁদের নিঃশর্ত অবদান রেখেছেন।

চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ৬ জন নেপথ্য নায়কের গল্প।

রাম পাল: ইনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা। চোখে দেখতে পান না বললেই চলে। অথচ তাঁর হাতেই রূপ পায় দুর্গা প্রতিমা। এই প্রতিমা তৈরির শিল্প বাবার কাছে শিখেছিলেন রাম পাল। প্রতি বছর পুজোর সময় উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দিতেন তিনি। বাবার দেখানো পথ ধরেই হেঁটেছেন রাম পাল। এখনও প্রতি বছর নিয়ম করে পুজোর আগে উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলায় পৌঁছে যান তিনি। রূপ দেন প্রতিমার।

চন্দনা এবং বন্দনা কর: চন্দনা ও বন্দনা সম্পর্কে বোন। উলুবেড়িয়ার কর পরিবারে জন্ম। তাঁদের হাতেই সেজে ওঠে প্রতিমার অস্ত্র। বোয়ালিয়ার প্রতাপ চন্দ্র দাসের কারখানায় বিগত ৫ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁরা। প্রতি বছর তাঁদের তৈরি করা অস্ত্র শোভা পায় প্রতিমার হাতে।

মুনমুন সরকার: শিলিগুড়ি শহরে টোটো চালান মুনমুন। প্রতি বছর তাঁর দুর্গাপুজো কাটে বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে। মুনমুন পুজোর আগে তাঁদের হাতে তুলে দেন নতুন জামা-কাপড়। তাঁদের নিয়ে টোটোয় চড়ে ঘুরে দেখেন পুজো মণ্ডপ। এক সঙ্গেই করেন দুপুরের খাওয়া-দাওয়া। এই মহামারির সময়ে নিঃখরচায় অসুস্থ রোগীদেরকে পৌঁছে দিয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর এই কাজের জন্য রাস্ট্রপতির কাছ থেকেও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন তিনি।

রণো বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার দুর্গাপুজোকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন রণো বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের অন্যতম বড় বিজ্ঞাপন এজেন্সিতে কাজ এবং আর্ট কলেজে পড়াশুনা করার অভিজ্ঞতা বাঙালির পুজো উদযাপনকে এক নতুন রূপে তুলে ধরেছে। কলকাতার বিভিন্ন নামী ক্লাবের পুজোয় তাঁর হাইপার রিয়েলিস্টিক আর্ট ফর্ম এক অন্য দুনিয়ায় নিয়ে গিয়েছে পুজোকে।

মৌসুমী চৌধুরী: বাংলার ছৌ নাচে বরাবরই একটি পুরুষ শাসিত ঐতিহ্য। পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা মৌসুমী সেই নিয়মকেই ভেঙেছেন। তিনি ছৌ নর্তকীদের নিয়ে একটি অল-গার্লস ব্যান্ড গঠন করেন এবং মহিষাশুরমর্দিনী নাটকটি পরিবেশন শুরু করেন। যেখানে তিনি স্বয়ং দেবী দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আজ তিনি পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের মুখ। যার জন্য ইউনেস্কো তাঁকে 'মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

পিওপল অব পুজোর প্রোমো দেখতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -

এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন