Ashok Gehlot

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ গহলৌতের

রাজস্থানের পরিবহণমন্ত্রী প্রতাপসিংহ খাচরিয়াবাস আজ জানান, সরকার পড়বে না। ছাড়া পেলেই সচিন-শিবিরে যোগ দেওয়া নেতারাও গহলৌত শিবির ফিরবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৩:৫২
Share:

ফাইল চিত্র

ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে শনিবার বিকেলেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। রাতে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির দুই বিধায়ক প্রকাশ্যে কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোর পরেই আজ রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত জানিয়ে এলেন, সরকার টিকিয়ে রাখার মতো যথেষ্ট বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রে এ কথা জানানো হলেও সরকারি সূত্রের দাবি, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে। সচিন পাইলটের ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরা আজ রাতে মানেসর থেকে দিল্লিতে এসেছেন। সচিন-সহ এই ১৯ বিদ্রোহীর বিধায়কপদ থাকবে কি না, সোমবার রাজস্থান হাইকোর্টে তার ফয়সালা হওয়ার কথা। তত দিন তাঁরা দিল্লিতেই থাকবেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

রাজস্থানের পরিবহণমন্ত্রী প্রতাপসিংহ খাচরিয়াবাস আজ জানান, সরকার পড়বে না। ছাড়া পেলেই সচিন-শিবিরে যোগ দেওয়া নেতারাও গহলৌত শিবির ফিরবেন। মালা পরিয়ে তাঁদের বরণ করে নেওয়া হবে। ২০০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে দরকার ১০১ জনের সমর্থন। খাতায়-কলমে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির দুই বিধায়ক-সহ কংগ্রেসের থাকার কথা ১০৯। কিন্তু ১৯ বিদ্রোহীর বিধায়ক পদ বাতিল হলে গরিষ্ঠতার জন্য দরকার হবে ৯১ জনের, অথচ গহলৌতের পক্ষে শক্তি তখন দাঁড়াবে ৯০। ১৯ বিদ্রোহী আস্থাভোটে অংশ না-নিলে বা নিতে না-পারলেও চিত্রটা একই থাকার কথা। কিন্ত তাতেও বিজেপির চেয়ে এগিয়ে থাকবেন তিনি। বিজেপির বিধায়কসংখ্যা ৭৩। বিকল্প সরকার গড়তে বিজেপি কোথা থেকে বিধায়ক পাবে, তা স্পষ্ট নয়।

বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্যতম ভাঁওয়ারলাল শর্মা। তাঁর সঙ্গে রাজস্থানে সরকার ফেলে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্রসিংহ শেখাওয়াতের কথাবার্তার একটি অডিয়ো টেপ সামনে এসেছে। গত দু’দিন ধরে ওই টেপটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, বিজেপি আজ সেটির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ‘মিশন’ পণ্ড হবে বুঝেই কি গজেন্দ্রের থেকে দূরত্ব রাখতে চাইছে বিজেপি? কংগ্রেসের পবন খেরার মতে, এটা ‘দোষ কবুল’ করা ছাড়া কিছু নয়। যদিও বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের বক্তব্য, যে পদ্ধতিতে বিধায়কদের কথা রেকর্ড করা হয়েছে, তা অসাংবিধানিক। ফোনে আড়ি পাতার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এ নিয়ে অন্য তদন্ত শুরু হলেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান সম্বিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও আড়ি পাতা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে।

Advertisement

এ দিকে প্রশ্নের মুখে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ভবিষ্যৎ। রাজ্যে সচিনকে জায়গা করে দিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি অংশ তাঁকে জাতীয় রাজনীতিতে চান। রাজি নন বসুন্ধরা। অভিযোগ উঠেছে, সচিনকে ঠেকাতে গেহলৌত সরকারকে বাঁচাতে তলেতলে সাহায্যও করছেন বসুন্ধরা। পরিচিত কংগ্রেস বিধায়কদের ফোন করে গহলৌতের পাশে থাকতে বলেছেন। জবাবে বসুন্ধরা বিবৃতিতে বলেছেন, “কিছু লোক রাজস্থানের রাজনৈতিক ঘটনাক্রম নিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছেন। তিন দশক ধরে দলের একনিষ্ঠ কর্মী আমি। দলের আর্দশই আমার কাছে শেষ কথা। কংগ্রেসের কারণে রাজ্যবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। এই কাদায় বিজেপি বা বিজেপি নেতাদের টেনে আনা অর্থহীন।”

আরও পড়ুন: লাদাখে অনড়ই চিন, সমালোচনা রাহুলের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement