প্রতীকী ছবি।
চিনের একাধিপত্য খর্ব করার লক্ষ্য নিয়ে আগামিকাল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার (আসিয়ান-ভুক্ত) দেশগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, সমুদ্রপথে সমন্বয় এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে ভারতের সঙ্গে আসিয়ান দেশগুলির প্রস্তাবিত চুক্তিটি দ্রুত বাস্তবায়িত করার বিষয়টাই এই বৈঠকে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই চুক্তি রূপায়ণ নিয়ে আসিয়ানের সঙ্গে দৌত্য করে চলেছে মোদী সরকার। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে প্রাচীন সমুদ্র যোগাযোগের ঐতিহ্য ছিলই। কিন্তু সাউথ ব্লকের মতে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই যোগাযোগের দ্রুত আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। ভারত যে ভাবে চাইছে, সে ভাবে যদি চুক্তিটিকে খাড়া করানো যায়, তা হলে শুধু ভারত-আসিয়ান নয়, আরও বৃহত্তর যোগাযোগের দরজা খুলে যাবে। অন্তত দিল্লির তেমনই দাবি।
সাউথ ব্লকের এক কর্তার মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে চিনের ‘ওবর’ প্রকল্পের একটি ‘পাল্টা’ দেওয়া সম্ভব হবে। ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে ‘ওবর’-এ প্রায় গোটা বিশ্বকে একজোট করতে সক্রিয় বেজিং। বিভিন্ন মহাদেশে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করাটাই যে ‘ওবর’-এর প্রধান লক্ষ্য, এমন কথাও ঘরোয়া ভাবে বলছেন কূটনৈতিক কর্তারা। এমতাবস্থায় কালকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী আসিয়ান কর্তাদের আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করবেন যে, সম্প্রতি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে তৈরি চর্তুদেশীয় গোষ্ঠী কখনওই আসিয়ান-এর স্বার্থকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে না। ওই গোষ্ঠী গড়াই হয়েছে চিনের একচেটিয়া প্রভাবকে রুখতে।
আসিয়ান-গোষ্ঠীর সঙ্গে সামগ্রিক আলোচনার পাশাপাশি আসিয়ান-ভুক্ত ন’টি দেশের নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আজ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি সেখানেও গুরুত্ব পাচ্ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তা। ভারত মহাসাগর-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা কাঠামোকে শক্তিশালী করতে আসিয়ান গোষ্ঠীকে সব রকম সমর্থন দিতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি। বৈঠকগুলিতে সেই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে।