অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা
পশ্চিমবঙ্গ যখন আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিল, কেএলও প্রধান জীবন সিংহ তাতে সাড়া দেননি। কিন্তু এ বার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কেএলও-কে শান্তি আলোচনায় আহ্বান জানাতেই তড়িঘড়ি তাকে স্বাগত জানালেন জীবন। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, “হিমন্তর আহ্বানে আমরা খুশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোচ-কামতাপুরিদের সমস্যা সমাধানে ও শান্তি আলোচনায় যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তার জন্যও ধন্যবাদ।”
জীবনের বাড়ি আলিপুরদুয়ারে। তাঁর দুই মেয়ে এখনও পশ্চিমবঙ্গের এই জেলার উত্তর হলদিবাড়িতে মামাবাড়িতে রয়েছে। কেএলও-র প্রভাব অসমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও যথেষ্টই ছিল। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গ যে মধ্যস্থতাকারীদের দিয়ে আলোচনা শুরুর চেষ্টা করেছিল, তাতে জীবন সাড়া দেননি। এ দিনও নিজের রাজ্য সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, শুধু হিমন্তের সঙ্গে আলোচনা করলে কি কেএলও সমস্যা মিটবে? উল্টে নতুন করে জট তৈরি হবে না তো? বিশেষ করে কেএলও যে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিল, তাতে অসমের চারটি জেলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেরও উত্তরের ছ’টি জেলাকে জোড়ার কথা বলা হয়েছিল। জীবনের শ্যালকদের পরিবার মনে করে, এই আলোচনায় অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গকে যুক্ত করা উচিত। শান্তি আলোচনা নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পরেই কেপিপি এবং গ্রেটার কোচবিহারের নেতারা দাবি করেছিলেন, তাঁদের ছাড়াও এই আলোচনা অসম্পূর্ণ। জীবন এ দিন কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন।
জীবন জানিয়েছেন, অসমের সঙ্গে শান্তি আলোচনা কবে শুরু হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অসম সরকারের প্রস্তাব নিয়ে তাঁরা নিজেদের সংগঠনে বিশদ আলোচনা করবেন। পাশাপাশি কোচ সংগঠনগুলি ও বুদ্ধিজীবীদের মতামতও নেবেন। তার পরেই আলোচনার ব্যাপারে এগোনো হবে। জীবন বলেন, “এত দিনের জটিল সমস্যার সমাধান সময় বেঁধে দিয়ে, দ্রুত শেষ করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সদিচ্ছা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, সব ঠিক মতো এগোলে ২০২২ সালে ইতিবাচক কিছু ঘটবে। আমার ধর্মপুত্র দেবরাজ অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মহলের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছে।”