আগামী বছর নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাবকে চড়়া সুরে নিয়ে যেতে চাইছে মোদী সরকার। পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে সাময়িক মধুচন্দ্রিমার চেষ্টা অবশ্য হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, তাতে ঘরে এবং বাইরে সুবিধা করে ওঠা যায়নি। গত কয়েক মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমশ সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পাক জঙ্গিরা। সীমান্তে ঘটেছে হিংসা ও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও প্রশ্নের সামনে মোদী সরকার। তাই ঝুঁকি না নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
দু’দিন আগে রাজৌরিতে দুই পাকিস্তানি জঙ্গির সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষ নিয়ে আজ পাকিস্তানকে কড়া কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লিতে পাক দূতাবাসের এক পদস্থ কর্তাকে ডেকে পাঠিয়ে ২১ অক্টোবরের ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। তার পরে বিবৃতি দিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ‘পাকিস্তানের উস্কানিমূলক মনোভাবের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া এবং প্রসার থেকে প্রমাণিত যে তারা শান্তির জন্য যে কথাগুলো বলছে সেগুলো ফাঁপা বুলি ছাড়া কিছু নয়।’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আজ আরও বলা হয়েছে যে ২০০৩ সালে ভারত এবং পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে পাকিস্তান ১৫৯১ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এ দিনও জম্মুর মোতি মহল ও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে হামলা চালায় পাক সেনা। মোতি মহলে ভারতীয় সেনার ৯৩ নম্বর ব্রিগে়ডের সদর দফতরে এসে পড়ে একটি রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড। সেখানে বিস্ফোরণ হলেও কেউ হতাহত হননি।
অন্য দিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ ভারতকে কোণঠাসা করার পাশাপাশি শান্তির পায়রাও ওড়াতে চেয়েছেন। রিয়াধে এক বিনিয়োগ সম্মে লনে তাঁর বক্তব্য, ‘‘অন্য যে কোনও দেশের থেকে পাকিস্তান এই মুহূর্তে শান্তি এবং নিরাপত্তা চাইছে।’’ গত কালই ভারতের তীব্র নিন্দা করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু নিন্দাজনক। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারতের একটাই কাজ— পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপরে আক্রমণ। এর আগে নওয়াজ সরকারের সময়ে সেটা সহজেই করতে পারত নয়াদিল্লি।’’