দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির আবগারি মামলায় এ বার অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ্তসহায়ক বিভব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। পাশাপাশি, আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক দুর্গেশ পাঠককে এই একই মামলায় তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, আবগারি মামলা থেকে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে গোয়ায় গিয়েছিল। সেই টাকা গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোয়ার আপ বিধায়ক দুর্গেশকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সোমবারই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আপ বিধায়ক ইডি দফতরে যাননি বলেই খবর।
আবগারি মামলার তদন্তে নেমে দীনেশ অরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, দীনেশের বয়ান থেকেই স্পষ্ট ৪৫ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে গোয়ায় গিয়েছে। সেই টাকাই গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে। দীনেশের বয়ানকে সামনে রেখেই দুর্গেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে গ্রেফতারের পর এ বার তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা বলে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা। শুধু তাঁকে একা নয়, আরও তিন আপ নেতাকেও গ্রেফতার করার আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন অতিশী। সেই তালিকায় ছিলেন রাঘব চড্ডা, দুর্গেশ পাঠক এবং সৌরভ ভরদ্বাজ।
অতিশী বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালের পর বিজেপি এখন আপের পরবর্তী নেতাদের নিশানা করছে। ব্যক্তিগত পরিসর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আমাকে বলা হয়েছে, আমি যদি আমার রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে চাই, তবে আমি বিজেপিতে যোগ দিতে পারি। আর যদি বিজেপিতে না যাই, তবে আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রেফতার হতে পারি।’’ যদিও এই দাবি উড়িয়ে দেয় বিজেপি। এমনকি, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। বিজেপির অভিযোগ পাওয়ার পরেই অতিশীকে শো-কজ় করে কমিশন। দুর্গেশকে ইডির তলব করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই আপের অন্দরে অনেকের প্রশ্ন, অতিশীর দাবি কি এ বার সত্যি হবে?