দিল্লির অসহ্য দাবদাহের সঙ্গে যুদ্ধ লড়তে কেজরীবালের নতুন দাওয়াই ‘সামার অ্যাকশন প্ল্যান’।
মে মাসে দিল্লির তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুনে পারদ কিছুটা নেমেছে ঠিকই, ঝড়-বৃষ্টির ট্রেলারও হচ্ছে, কিন্তু এ বার নতুন অতিথি আর্দ্রতা। উপরন্তু বিপদ পানীয় জলের ঘোর সমস্যা। বিশেষ করে সুলতানপুর, ফরিদাবাদ, পশ্চিম দিল্লির জনকপুরী, কাশ্মীরী গেট প্রভৃতি জায়গার মানুষ জলের জন্য নাজেহাল।
এই জল সমস্যার সমাধানের জন্যই মূলত সরকারের সামার অ্যাকশন প্ল্যান (স্যাপ)। কেজরীবালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিকল্পনা আম আদমির জন্য নেওয়া হয়েছে।
কী এই স্যাপ?
ভাগীরথী নদীর উপর তৈরি বাঁধ থেকে ‘আপার গঙ্গা ক্যানাল’-এর মাধ্যমে প্রত্যহ দিল্লি ৪৭০ কিউসেক জল পেয়ে থাকে। এটি পরিকল্পনা অনুসারে জল সরবরাহের ২৭ শতাংশ মাত্র। দিল্লি জল বোর্ড এই গরমে প্রত্যেক দিন ৯০০ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবারের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে।
দিল্লি জল বোর্ডের চেয়ারপার্সন কপিল মিশ্র এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে, “তেহরির জলস্তর নেমে যাওয়ায় আমাদের জল সরবরাহ পরিকল্পনা অনুসারে সফল হচ্ছে না। এর জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টায় আছি।” কপিল বলেন, “দ্বারকা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নিজের ক্ষমতা অনুসারে ৪০ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবরাহ করছে। এ বারের গরমে আমরা জল সরবরাহের ব্যবস্থা আগের থেকে ভাল করতে উদ্যোগী।” সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসের কাছে মেয়েদের একটি হস্টেলে দীর্ঘ দু’মাস ধরে পর্যাপ্ত জল না থাকার খবর পাওয়া পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ে কপিল মিশ্র সেখানে গিয়েও জল সমস্যা মেটাবার কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যেই আপ বিধায়ককে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ!
দিল্লির বিভিন্ন অংশ জুড়ে দিল্লি জল বোর্ডের জল সরবরাহের গাড়ি এসে পানীয় জল দিয়ে যায়। যদিও জল নষ্টও করে এই জল সরবরাহের গাড়িগুলি। এই গাড়িগুলির জলের কলের মুখ খোলা থাকে, ফলে মানুষকে জল দিতে গিয়ে সারা রাস্তা জল ফেলে জল নষ্ট হয়। গরমে জল সরবরাহ আরও ভাল করার বিষয়ে কপিল মিশ্র বলেছেন যে ‘সামার অ্যাকশন প্ল্যান’-এর অন্তর্গত সমস্ত দরকারি ফোন নম্বরযুক্ত একটি ফোন ডিরেক্টরি বার করেছে দিল্লি জল বোর্ড।
এ সবের মধ্যেই দিল্লি জল বোর্ড ওয়াজিরাবাদে অবস্থিত জল সরবরাহের প্ল্যান্টের সাথে সরাসরি জল নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, এর ফলে এই গরমে দিল্লিতে জল সমস্যার কিছু সুরাহা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।