দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
একটা সময়ে তিনিই ছিলেন দিল্লি পুলিশের ‘বস্’। তবে এখন তিনি প্রাক্তন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর জায়গা নিয়েছেন। নতুন বস্-এর অধীনে পুরনো অধস্তনের ‘দুর্দশা’ দেখে সমবেদনা জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বললেন, ‘‘কাজ ছেড়ে বস্-এর নির্দেশে এখন ‘নাটকবাজি’ও করতে হচ্ছে দিল্লি পুলিশকে।’’
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’-দু’বার দিল্লি পুলিশ গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের বাসভবনে। দু’বারই কেজরীকে একটি করে নোটিস দিয়ে আসে তারা। ওই নোটিস আসলে বিজেপির করা একটি মামলার সূত্রেই।
কেজরীওয়ালের করা একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। কেজরীওয়াল সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দলের বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। আম আদমি পার্টি (আপ)-র সাত জন বিধায়কের কাছে ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাবও এসেছে বিজেপির তরফে। বদলে তাঁদের আপ ছাড়তে বলা হয়েছে। কেজরী বলেছেন, মহারাষ্ট্র এবং বিহারের পর এ ভাবেই দিল্লির সরকারও ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। কেজরির এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই বিজেপির এক নেতা একটি মামলা করেন। যার তদন্তের সূত্রে কেজরীকে নোটিস ধরায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শনিবার সেই নোটিস পাওয়ার পরেই কেজরীওয়াল জানান, দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার জন্য দুঃখ হচ্ছে তাঁর।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ কর্তাদের আমি সমবেদনা জানাই। ওদের আর দোষ কী! ওঁদের কাজ অপরাধ দমন করা। অখচ ওঁদের দিয়ে অপরাধ দমন করানোর বদলে রোজ নাটক করানো হচ্ছে। দিল্লিতে এই জন্যই অপরাধ বাড়ছে।’’
কেজরী বলেন, ‘‘ওঁদের রাজনৈতিক বস আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, আপের কোন কোন বিধায়ককে ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়েছে? কিন্তু আমার থেকে বেশি তো আপনারা জানেন, কাদের ভাঙানো হয়েছে? শুধু দিল্লি কেন? গোটা দেশেই গত কয়েক বছরে কোন কোন পার্টির কোন কোন বিধায়ককে ভাঙিয়ে সরকার ভাঙা হয়েছে, তার সব তো আপনারাই জানেন! তা হলে এই নাটক কিসের?’’