দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিপদসীমা ছুঁয়েছে যমুনা নদীর জল। অবিরাম বর্ষণ চলতে থাকলে দিল্লিবাসী বানভাসি হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে সোমবার বৈঠক ডাকলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এই বৈঠকে সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবেন দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারিকরাও।
রবিবার দিল্লির সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের তরফে জানানো হয়, বিকেল ৪টে নাগাদ হরিয়ানার হাতনিকুন্ড জলাধার থেকে ১,০৫,৪৫৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দিল্লি প্রশাসন সূত্রে খবর, সাধারণত প্রতি দিন ৩৫২ কিউসেক জল ছাড়া হয় ওই বাঁধ থেকে। সেই জল দিল্লি এসে পৌঁছয় প্রায় দু’তিন দিন পর। কিন্তু গত কয়েক দিনের একটানা বর্ষণে জলাধারগুলিতেও জলের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা প্যানেল জানিয়েছে, পুরনো রেল সেতুর কাছে যমুনার জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়েছে। হরিয়ানা নতুন করে জল ছাড়লে বিপদ আরও বাড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ১৬টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে দিল্লির আপ সরকার। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী নিচু জায়গা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিমি। ১৯৮২ সালের পর জুলাই মাসে কোনও এক দিনে এই প্রথম এত পরিমাণে বৃষ্টি হল দিল্লিতে। ১৯৮২ সালের ২৫ জুলাই এক দিনে দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল ১৬৯.৯ মিমি। ১৯৫৮ সালে ২১ জুলাই এক দিনে দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল ২৬৬.২ মিমি। আগামী দু’তিন দিন দিল্লিতে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দিল্লির পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা। উত্তর ভারতে গত দু’দিনে দুর্যোগে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষণ পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের সঙ্গে রবিবার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।