—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাস দুয়েক আগে কুকুরের কামড়ের জেরে জলাতঙ্কের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরের এক কলেজছাত্রের। তবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসার বদলে পুজোপাঠ করলে ছাত্রটি সেরে উঠবে বলে বিশ্বাস ছিল তাঁদের। তবে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। এই ঘটনায় পোষ্যদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার জন্য এলাকায় বাসিন্দাদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইটানগরে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে নায়রো রাসিং (১৮) নামে এক ছাত্রের। ঝুলং এলাকায় ডন বস্কো কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। জুলাই মাসে নায়রোর ডান হাতে কামড়েছিল দু’বছরের একটি কুকুর। এর কিছু দিন পর ওই কুকুরটির মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জলাতঙ্কের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নায়রোকে টোমো রিবা ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (ট্রিহমস)-এ ভর্তি করানো হয়েছিল।
অরুণাচলের সার্ভিল্যান্স আধিকারিক তথা চিকিৎসক লোবসাং জাম্পার দাবি, পুজোপাঠ করে জলাতঙ্ক সারাতে ছাত্রটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এর পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ছাত্রটির। সংবাদমাধ্যমের কাছে জাম্পা বলেন, ‘‘জলাতঙ্ক বিপজ্জনক। কুকুরে কামড়ালে জলাতঙ্কের টিকা নেওয়া ছাড়া অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’’
ছাত্রমৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। জেলার সমস্ত পথকুকুরদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইটানগরের ডেপুটি কমিশনার টালো পোটোম। এ ছাড়া, পোষ্যদের টিকাকরণের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।