অরুণ জেটলি। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সতর্ক করেছেন। অমিত শাহ শাসিয়েছেন। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ বিলের সময়ে আজ রাজ্যসভার গরহাজির মন্ত্রী-সাংসদরা।
সহকর্মীদের অনুশাসনের অভাব দেখে আজ রাগ চাপতে পারেননি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সকলের সামনেই গর্জে উঠে বলেছেন, ‘‘এঁরা সবচেয়ে বেয়াদব মন্ত্রীর দল।’’ (মোস্ট ইনডিসিপ্লিনড বাঞ্চ অব মিনিস্টার্স।’’
আজ ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ সংশোধনী বিলটি পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন জেটলি। তাগিদও ছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা মেটাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ক্ষমতা দিতে অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল। সেটাই আইন করতে লোকসভার পরে রাজ্যসভায় বিল পাশ করানো জরুরি। সংসদের অধিবেশনের আর দু’দিন বাকি। পাশ না হলে অধ্যাদেশ কার্যকর থাকবে না। বিল পাশ করানোর সময় কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেডি পাঁচশো, দু’হাজারের নোটে রকমফের নিয়ে ওয়েলে নেমে বার বার বিক্ষোভ দেখায়। চণ্ডীগড়ে বর্ণিকা কুণ্ডূর ঘটনা নিয়েও শোরগোল হয়। তার মধ্যেই বিল পাশ করাতে গিয়ে পিছিয়ে যায় সরকার। রাজ্যসভায় একেই সরকার সংখ্যালঘু। তার উপরে সব মন্ত্রীরা রাজ্যসভায় ছিলেন না। সাংসদদের একটা বড় অংশও ছিলেন গরহাজির। ক্ষুব্ধ জেটলির প্রশ্ন, এখন বিল পাশ করাতে গিয়ে ভোটাভুটি হলে কী হবে?
আরও পড়ুন: রাতের খেলায় দুরন্ত স্লগ ওভার
জেটলি-গর্জনের পরেই কিছু মন্ত্রী রাজ্যসভায় এসে ঢোকেন। তারপরেও শাসক দলের বেঞ্চের অনেকটাই ফাঁকা ছিল। পরে এক ক্যাবিনেট মন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই সময় লোকসভাও মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল। সাংসদরা তো বটেই, যে সব মন্ত্রীরা ফাঁকি মেরেছেন, তাঁদের বিশেষ কোনও অজুহাত নেই।’’ আগামিকাল বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে হাজির থাকতে হুইপ জারি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। চলতি অধিবেশনেই বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদদের গরহাজিরার সুযোগ নিয়ে ওবিসি বিলে কংগ্রেস সংশোধনী পাশ করিয়েছিল। মোদী গরহাজির নেতাদের তালিকা চান। এরপর সাংসদদের বৈঠকে অমিক শাহ শাসানি দেন, এমন ভুল আর বরদাস্ত করা হবে না। তাতেও টনক নড়েনি।
কবে হুঁশ ফিরবে মন্ত্রী-সাংসদদের? বিজেপির এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘শীতকালীন অধিবেশনে অমিত শাহ নিজেই রাজ্যসভায় এসে বসবেন। তখন আর ফাঁকি মারার সুযোগ থাকবে না।’’