National News

ওমর কেন বন্দি? কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নোটিসের জবাব দিতে হবে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৩০
Share:

মাস ছয়েক ধরেই বন্দিদশায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।

জন নিরাপত্তা আইন (পিএসএ)-এ কেন বন্দি ওমর আবদুল্লা, তা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের জবাবদিহি চায় সুপ্রিম কোর্ট। ওমরের বোন সারা আবদুল্লা পাইলটের আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার রাজ্য প্রশাসনকে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে। যদিও এই আইনের আওতায় ওমরের বন্দিত্ব বৈধ কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে সারার আবেদনের শুনানি হয়। শুনানির পর জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি। যদিও সারার আইনজীবী কপিল সিব্বলের অনুরোধ ছিল, আগামী মাসের আগেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হোক। তবে সেই আর্জি খারিজ করে আগামী মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত। এ দিনের শুনানির পর ওমরের বোন সারা বলেন, “আশা করছি, অতি শীঘ্রই (ওমরের) মুক্তি হবে। বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি, ভারতের বাকি অংশের মতোই কাশ্মীরের মানুষজনও সমান অধিকার পাবেন। সে দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।”

গত বছরের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি-সহ একাধিক রাজনীতিককে আটক করা হয়েছিল। সে সময় থেকেই গ়ৃহবন্দি ওমর। গত সপ্তাহে ওমর ও মেহবুবার বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইনও প্রয়োগ করা হয়। ওই আইন বলে যে কোনও ব্যক্তিকে বিনা বিচারে তিন থেকে ছ’বছর আটক করে রাখা যাবে। ওমরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ তুঙ্গে থাকাকালীন এবং জঙ্গিদের ভোট বয়কটের ডাকের মধ্যেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আম জনতাকে টেনে আনার ক্ষমতা ছিল তাঁর। তা থেকেই বোঝা যায়, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। প্রশাসনের আরও অভিযোগ, ওমর চরমপন্থী ভাবনায় বিশ্বাসী এবং তা কাজে পরিণত করার ক্ষমতা রাখেন। যদিও এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি প্রশাসন।

Advertisement

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের সেই চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে এবার এনএসএ-ধারা দিল পুলিশ

আরও পড়ুন: নির্ভয়া-কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে বিনয়ের আর্জি খারিজ, সে একেবারে সুস্থ, জানিয়ে দিল আদালত

১০ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ওমরের বোন সারা। সারার যুক্তি, পিএসএ প্রয়োগ করে ওমরের বাক্-স্বাধীনতা ও অন্যান্য সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সারার আবেদন, ওমরকে আদালতে পেশ করে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement