Jammu And Kashmir

কাশ্মীরে বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে তিন মাসে ক্ষতি ১০ হাজার কোটির বেশি!

জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি ধরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে গত কয়েক মাসে একাধিক বার দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৩২
Share:

অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বন্ধ দোকানপাট। ছবি: এএফপি।

বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম জম্মু-কাশ্মীরে। তার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে উপত্যকার অর্থনীতিও। গত তিন মাসে সেখানে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। আগামী ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। তার আগে এই পরিস্থিতি মোদী সরকারের দুশ্চিন্তার কারণ হতে হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি ধরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে গত কয়েক মাসে একাধিক বার দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাও জানিয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ সেখানে। তাতে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ আশিক। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে ব্যবসায়-বাণিজ্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়েছে। তিন মাস হতে চললেও, এখনও উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সম্প্রতি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, ব্যবসায় মন্দা চলছে বলেই জানতে পেরেছি আমরা।’’

তাঁর কথায়, ‘‘আজকের দিনে যে কোনও ব্যবসার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এতে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হবে না, বরং কাশ্মীরের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এর ফল ভুগতে হবে সরকারকেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সামনেই অযোধ্যা রায়, রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্ব স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী​

আরও পড়ুন: হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন খট্টর, উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন দুষ্মন্ত​

ইউরোপ, আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাশ্মীরি হস্তশিল্পের রফতানি হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখায়, প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি শেখ আশিকের। তিনি বলেন, ‘‘হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে জুলাই-অগস্ট মাস নাগাদই বিদেশ থেকে অর্ডার এসে যায়। বড়দিন এবং নতুন বছরের আগে তা সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু অর্ডার হাতে পেলে তবে তো সরবরাহের কথা ভাবা যাবে! যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থাই নেই, সেখানে অর্ডার আসবে কোথা থেকে? এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার হস্তশিল্পী এবং তাঁতশিল্পী কাজ হারিয়েছেন।’’ শুধুমাত্র কাজ হারানোই নয়, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় জিএসটি-সহ আরও নানা ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না বলেও মনে করিয়ে দেন শেখ আশিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement