থানার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে গোটা ঘটনাটাই ধরা পড়েছে। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
থানার ভিতরে রক্তারক্তি-কাণ্ড! দুই পুলিশকর্মীকে গাঁইতি দিয়ে কুপিয়ে পালাল থানায় গ্রেফতার করে নিয়ে আসা এক অভিযুক্ত। সঙ্গে নিয়ে গেল অন্য এক অভিযুক্তকেও। যদিও ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে ওই দু’জন। মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার উমরী থানার ওই হামলার ঘটনায় আক্রান্ত এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বুধবার। অন্য জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
থানার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে গোটা ঘটনাটাই ধরা পড়েছে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে এলাকায় অশান্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের বিষ্ণু রাজাবতকে। তার বিরুদ্ধে বেআইনি খনি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। বিষ্ণু এবং তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। তবে লকআপে না রেখে ধৃতদের বাইরেই বসতে বলা হয়। সে সময় তাদের পাহারা দেওয়ার জন্য কোনও রক্ষী ছিল না। থানায় নির্মাণকাজের জন্য সামনেই পড়ে ছিল একটি গাঁইতি। গাঁইতিটা চোখে পড়তেই তা নিয়ে থানার ভিতরে ঢুকে পড়ে বিষ্ণু।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, করিডর ধরে দ্রুত পায়ে ঘরে ঢুকছে সে। সে সময় তাঁর দিকে পিছন ফিরে কাজ করছিলেন দুই পুলিশকর্মী। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা গাঁইতি দিয়ে তাঁদের মাথায় সজোরে আঘাত করে বিষ্ণু। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক পুলিশকর্মী। এর পর আর এক পুলিশকর্মীকেও আক্রমণ করে বিষ্ণু। প্রথমটায় আঘাত এড়ানোর চেষ্টা করলেও পরে পারেননি। তিনিও আহত অবস্থায় চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে যান। এর পরই সেখান থেকে মন সিংহকে নিয়ে চম্পট দেয় বিষ্ণু।
ভিন্দের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন উমরী থানার হেড কনস্টেবল উমেশ বাবু। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় দিল্লির এক হাসপাতালে। এ দিন সকালে সেখানেই মারা যান উমেশ। অন্য পুলিশকর্মীকে গ্বালিয়রের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণপিটুনিতে খুন হলেও ক্ষমতায় আসবে বিজেপিই, হুঙ্কার অমিত শাহের
আরও পড়ুন: বচসার জেরে বৃদ্ধ দম্পতি ও তাঁদের ছেলেকে মারধর, সিন্ডিকেটই কি কারণ?
হামলার পর থানা থেকে পালালেও বেশি ক্ষণ পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকতে পারেনি অভিযুক্ত ওই দু’জন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রবিবার রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কেন হামলা চালাল বিষ্ণু? কারণ হিসাবে তার নির্লীপ্ত জবাব, “ওরা (পুলিশকর্মীরা) আমাকে থানায় বসে থাকতে বলেছিল। ভাবলাম, আমি পালিয়ে যেতে পারব। সে জন্য ওদের আক্রমণ করেছিলাম!” বিষ্ণুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে ভিন্দ থানার পুলিশ।