মেজর লিতুল গগৈ। —ফাইল চিত্র
জিপের সামনে এক সাধারণ নাগরিককে বেঁধে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তুমুল বিতর্ক বাধিয়েছিলেন। মহিলাকে নিজের ঘরে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় হোটেল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিতর্কিত সেই মেজর লিতুল গগৈকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করল সেনা আদালত। দ্বিতীয় ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে স্থানীয়দের সঙ্গে হাতাহাতি, নিষেধ করা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট জায়গায় ডিউটিতে না থাকার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে মেজর গগৈয়ের বিরুদ্ধে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। এ বার সেনা আইনেই তাঁর শাস্তি হবে।
জম্মু-কাশ্মীরে কর্তব্যরত ছিলেন মেজর গগৈ। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এ বছরের মে মাসে অনলাইনে স্থানীয় একটি হোটেলের ঘর বুক করেন লিতুল। তিনি হোটেলে ওঠার পর এক মহিলা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু হোটেলকর্মীরা তাঁকে মেজরের ঘরে ঢুকতে বাধা দেন। এরপরই ওই হোটেল কর্মীদের উপ চড়াও হন মেজর। তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: নাগরিক পঞ্জির শহিদদের স্বজন আজও লড়াইয়ে
এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রাথমিক ভাবে মেজরের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলে। যদিও মেজরের দাবি ছিল, ওই মহিলা তাঁর সোর্স ছিল। তাঁর সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে হোটেলে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শেষে বিচারে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে সেনা আদালত।
আরও পড়ুন: গোহত্যার ‘অভিশাপ’-এ ভাসছে কেরল! মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের
অন্য দিকে তারও আগে গত বছরের এপ্রিলে শ্রীনগরের উপনির্বাচনের সময় বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে আসেন এই মেজর। সেই সময় ভোটগ্রহণ সেরে ফেরার পথে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে এক স্থানীয় বাসিন্দাকে জিপের সামনে বেঁধে নিয়ে আসেন মেজর লিতুল। দেশ জুড়ে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। সমালোচনায় সরব হন মানবাধিকার কর্মীরাও।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)