—প্রতীকী ছবি।
পুলওয়ামার গনাই মহল্লা এলাকায় সংখ্যালঘুদের একটি ধর্মস্থানে জোর করে ঢুকে ভিতরে প্রার্থনা করতে আসা ভক্তদের ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে অবশেষে পদক্ষেপ করল সেনা। শনিবার ভোরে জাদুরা গ্রামের ধর্মস্থানে ওই ঘটনার পরে এক নিরাপত্তা অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সেনা সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি না দিলেও তাদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে প্রকৃত বিষয়টি দেখা হবে। দোষীদের ছাড়া হবে না বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেনা সূত্রে।
গত শনিবার ভোরের ওই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজ়াদ, মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে দোষীদের কঠোর সাজার দাবি তুলেছেন উপত্যকার অনেকেই। সে দিন ধর্মস্থানে উপস্থিত ভক্তদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, জওয়ানেরা তাঁদের রীতিমতো মারধর করে স্লোগান দিতে বাধ্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘটনার দিন তাঁরা যখন প্রার্থনা করছিলেন, সে সময়ে টহলরত বাহিনীর কয়েক জন ওই ধর্মস্থানে ঢুকে পড়ে। বাকিরা মসজিদটি ঘিরে ছিল। ভিতরে ঢুকে জওয়ানেরা প্রার্থনারত ভক্তদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করে। প্রার্থনার মধ্যে ওই কথা মানতে রাজি না হওয়ায় কয়েক জনকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিও দিতে বাধ্য করা হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির অভিযোগ, ৫০ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি দল ওই ঘটনায় জড়িত। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ওই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সদ্যসমাপ্ত আমেরিকা সফরের সময়েই সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে শাসক দলের আচরণের বিষয়টি তুলে ধরে তীব্র সমালোচনা করেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী ওবামাকে আক্রমণ করেন। কিন্তু তার মধ্যেই এই ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রকে।