Army officer

সেনার বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ কর্নেলের

কর্নেল অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুলাই সকালে ইম্ফলের কোয়ার্টার থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় কয়েক জন সশস্ত্র জওয়ান। যার নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল নন্দা ও মেজর রাঠোর। এর পর পাঁচ দিন ধরে তাঁকে একটি বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

আমজনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসরকারি সংগঠনগুলির তরফ থেকে প্রায়শই অভিযোগ শোনা যেত। এ বার মণিপুরে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেন এই সেনাকর্মী। সেনাবাহিনীর একটি অংশ মণিপুরের নির্দোষ যুবকদের ধরে আনছে এবং ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করছে বলে অভিযোগ করলেন ধরমবীর সিংহ নামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই লেফটেন্যান্ট কর্নেল।

Advertisement

মণিপুরের এক আদালতে হলফনামা পেশ করে ধরমবীর অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের নিরপরাধ নাগরিকদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করে সেনার একটি দল। টাকা না পেলে ভুয়ো সংঘর্ষে মেরেও ফেলা হয়। ধরমবীরের অভিযোগের পরই আদালত সেনাবাহিনীকে এ সম্পর্কে তাদের মতামত জানাতে নির্দেশ দিয়েছে।

কর্নেল অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুলাই সকালে ইম্ফলের কোয়ার্টার থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় কয়েক জন সশস্ত্র জওয়ান। যার নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল নন্দা ও মেজর রাঠোর। এর পর পাঁচ দিন ধরে তাঁকে একটি বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাদাজল ছিটল কেন? প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুন বিহারে

ধরমবীর অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে ২০১৬ সালে প্রথম বার সরব হন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইম্ফলের এক আদালতে অভিযোগও করেছিলেন। তার পরই তিনি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে যান। ধরমবীর হলফনামায় বলেছেন, মণিপুরের নির্দোষ ছেলেদের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাঙাপাহাড় ক্যান্টনমেন্টের কাছে ভুয়ো সংঘর্ষে সেনাবাহিনী খুন করেছে বলে ২০১৬ সালে অভিযোগ করেন। কিন্তু, তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপও দেওয়া হয়।

ধরমবীর সিংহ আদালতে পেশ করা হলফনামায় নিজের ও পরিবারের উপর হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement