দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে ব়ড় ধরনের জঙ্গি দমন অভিযানে নামল সেনা ও পুলিশ। সংঘর্ষে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে দাবি বাহিনীর। জঙ্গি দমন অভিযানের সময়ে বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে আহত হয়েছে ছ’জন। অন্য দিকে পুঞ্চের রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনার গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন এক জওয়ান।
পুলিশ জানিয়েছে, ত্রালের ওয়ান্টিওয়েন জঙ্গলের গুজর বস্তি এলাকায় জঙ্গি গতিবিধির খবর পান গোয়েন্দারা। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে ৪২ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপ। তল্লাশি শুরু হতেই গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ্যের দাবি, সংঘর্ষে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে। তাদের মধ্যে ইশফাক আহমেদ খান ও মুখতিয়ার লোন ত্রালেরই বাসিন্দা। তৃতীয় জনকে এখনও শনাক্ত
করা যায়নি। এরা সকলেই পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। ওই এলাকায় আরও জনা পাঁচেক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন সেনা ও পুলিশ কর্তারা। তাদের খোঁজে হেলিকপ্টার থেকে নজরদারি শুরু হয়েছে। ডাকা
হয়েছে সেনার প্যারা কম্যান্ডোদেরও। পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ, জঙ্গিরা
ওই এলাকার কোনও গুহার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
জঙ্গি দমন অভিযানের সময়ে বাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ছ’জন বিক্ষোভকারী। পরে দক্ষিণ কাশ্মীরেরই কুলগামে সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ চেকপোস্ট লক্ষ করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে এক সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় আসলাম নামে এক জঙ্গিকে আটক করেছে সিআরপিএফ।
নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক হামলা থামারও কোনও লক্ষণ নেই। আজ ভোর থেকে পুঞ্চের রাজৌরি সেক্টরে বালাকোট ও তুরকুন্ডি এলাকায় গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। পাক গুলিবর্ষণে নিহত হন ল্যান্স নায়েক মহম্মদ নাসির। বছর পঁয়ত্রিশের মহম্মদের বাড়ি পুঞ্চেরই হাভেলি তহসিলের আজৌত গ্রামে।