পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছিল বলে গুগল প্লেস্টোরের তিনটি স্মার্টফোন‘অ্যাপ’কে নিষিদ্ধ করল সেনাবাহিনী।
ওই তিনটি ‘অ্যাপে’র নাম- ‘উইচ্যাট’, ‘স্মেশ’ আর ‘লাইন’। পঠানকোট-হামলার ঘটনার পর থেকেই ওই ‘অ্যাপ’গুলিতে আইএসআই যে গোপনে আড়ি পাতছে, সে ব্যাপারে গত মাসে জওয়ান ও সেনা-কর্তাদের হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে।
তদন্তে দেখা গিয়েছে, গুগল প্লেস্টোরের ওই তিনটি ‘অ্যাপ’-এর ওপর বেশ কিছু দিন ধরেই গোপনে নজর রাখছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। নজর রাখা হচ্ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান ও সেনা-কর্তাদের গতিবিধির ওপর। ভারত কোথায় কী ভাবে সেনা মোতায়েন করছে আর সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত কী কী করছে, ওই ‘অ্যাপ’গুলিতে পাকিস্তান গোপনে আড়ি পেতে সে সবের খোঁজখবর রাখছিল। এ ব্যাপারে ভারতের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই প্লেস্টোর থেকে ‘স্মেশ-অ্যাপ’টি সরিয়ে দিয়েছে গুগল।
আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনা, উদ্বিগ্ন দিল্লি
তদন্তে এও দেখা গিয়েছে, আইএসআই ভারতীয় সেনা জওয়ান ও অফিসারদের স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে গোপনে তাঁদের গতিবিধি সম্পর্কে প্রচুর তথ্য জোগাড় করে যাচ্ছিল। নজর রেখে যাচ্ছিল তাঁদের পার্সোনাল কমপিউটারের ওপরেও। শুধুই জওয়ান ও অফিসারদের গতিবিধি নয়, তাঁদের ফোন নম্বরে কোথা কোথা থেকে ফোন আসছে, মেসেজ আসছে, তাঁরা কোথায় কোথায় ফোন বা মেসেজ করছেন, সে সবের কী বয়ান, সেই সব কিছুর ওপরেই গোপনে নজর রেখে যাচ্ছিল আইএসআই। সেই সব গোপন তথ্য রাখা হচ্ছিল জার্মানির একটি সার্ভারে। করাচির এক নাগরিকই ওই সার্ভার চালানোর খরচ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ভুয়ো প্রোফাইল দিয়ে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আইএসআই ভারতীয় সেনা জওয়ান ও অফিসারদের ফাঁদে ফেলারও ফন্দি এঁটেছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।