অস্ত্র মামলায় রেহাই সলমনকে

আরও এক বার স্বস্তি। আরও একটি রায় হল তাঁর পক্ষে। এ বার এক অস্ত্র মামলায় সলমন খানকে বেকসুর খালাস করল জোধপুরের এক আদালত। প্রায় উনিশ বছরের পুরনো ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, তৎকালীন রাজ্য প্রশাসন একটুও না ভেবেচিন্তে বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৬
Share:

আরও এক বার স্বস্তি। আরও একটি রায় হল তাঁর পক্ষে। এ বার এক অস্ত্র মামলায় সলমন খানকে বেকসুর খালাস করল জোধপুরের এক আদালত। প্রায় উনিশ বছরের পুরনো ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, তৎকালীন রাজ্য প্রশাসন একটুও না ভেবেচিন্তে বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল।

Advertisement

১৯৯৮ সালের অক্টোবর। একটি ছবির শ্যুটিং করতে রাজস্থান গিয়েছিলেন সলমন। সেই সময় জোধপুরের কঙ্কনি গ্রামে দু’টি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ মারেন তিনি। একই সময় তিনটি চিঙ্কারাও শিকার করেছিলেন সলমন। আর তা নিয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছিল জনপ্রিয় এই অভিনেতার বিরুদ্ধে। আজকের মামলাটি তারই একটি। জোধপুর প্রশাসনের অভিযোগ ছিল, যে অস্ত্র দিয়ে সলমন সে দিন কৃষ্ণসার শিকার করেছিলেন, তার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং অভিনেতার বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু আজ ১০২ পাতার রায় দিতে গিয়ে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দলপত রাজ সিংহ রাজপুরোহিত বলেছেন, ‘‘সলমনের লাইসেন্সের মেয়াদ যে ফুরিয়ে গিয়েছিল, সরকারি আইনজীবী তা প্রমাণ করতে পারেননি। সলমনের সঙ্গে সে দিন যে অস্ত্র ছিল, তা-ও প্রমাণিত হয়নি।’’

বিচারকের আরও বক্তব্য, যে লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরোনোর অভিযোগ সলমনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল, তা পুরোপুরি সত্যি নয়। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, সলমনের অস্ত্রের লাইসেন্স ৮ অগস্ট, ১৯৯৯ পর্যন্ত বৈধ ছিল। কিন্তু তিনি সেটার পুনর্নবীকরণ করাননি। যার মানে এটা নয় যে, ১৯৯৮ সালে অস্ত্রটি বেআইনি হয়ে গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সলমনের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা হওয়ার কথা, সেটা হয়নি। উল্টে বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা দেওয়া হয় তাঁর বিরুদ্ধে। যা এ ক্ষেত্রে কোনও মামলা হিসেবেই গণ্য করা যাবে না।

Advertisement

এর আগে ২০০২ সালের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলার অভিযোগ থেকেও মুক্তি পেয়েছেন সলমন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার সংখ্যা নেহাত কম নয়। অস্ত্র মামলায় রেহাই মিললেও আগামী ২৫ জানুয়ারি ফের জোধপুরের আদালতে হাজিরা দিতে হবে সলমনকে। বিরল কৃষ্ণসার হরিণ মারার মামলায় তাঁর রেকর্ড বয়ান করা হবে সে দিন। এ ছাড়া, চিঙ্কারা শিকার নিয়ে আলাদা মামলা চলছে। আজ বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ বোন অলবিরার সঙ্গে আদালতে পৌঁছন সলমন। ছিলেন মিনিট পনেরো মতো। তবে রায় শোনার পরে কোনও উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি তাঁর হাবভাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement