এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা।
সুপ্রিম কোর্টে এনআরসি মামলার মূল আবেদনকারী অসম পাবলিক ওয়ার্কস (এপিডব্লিউ) আজ সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখায় সরকারের ১৬০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল। তাদের দাবি, তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে এনআরসির আর্থিক বিষয় ও তথ্য-প্রযুক্তি সফ্টঅয়্যারের অডিট করা হোক।
এরই পাশাপাশি, এনআরসি দফতরের বিস্তর দুর্নীতি ও আর্থিক নয়ছয়ের সন্ধান মিলেছে বলে জানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই সেই সব তথ্য ফাঁস করবেন বলে তিনি জানালেন। বিধানসভার লবিতে তাঁর বক্তব্য, প্রতীক হাজেলা মুখ বন্ধ খামে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করতেন। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় সরকার হাজেলার কাজে কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। হিমন্ত বলেন, ‘‘সিএজি এনআরসি দফতরের কাজ খতিয়ে দেখে ১৬ দফা আপত্তি জানিয়ে রিপোর্ট দিয়েছিল। সব মিলিয়ে কত টাকার গরমিল তার হিসেব কষা চলছে। এত দিন আমরা চুপ করেছিলাম। চলতি অধিবেশনেই সব প্রকাশ করা হবে।’’
পাশাপাশি, অসম চুক্তির গ্রাহ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে অসমে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন হিমন্ত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একটি ছাত্র সংগঠনের চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এত বছরেও সেই চুক্তিকে রাজ্য বিধানসভা অনুমোদন করেনি। ফলে উল্লিখিত ভিত্তিবর্ষের কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।
তিনি জানান, ২৯ ও ৩০ নভেম্বর উত্তর-পূর্বের সব মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক দল ও অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর নতুন খসড়া তৈরি হবে। সেই সংশোধনী বলবৎ হলেই গোটা দেশে এনআরসি তৈরির ব্যাপারে আইন পাশ করা হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘একই ভিত্তিবর্ষ ধরে সারা দেশের সঙ্গে অসমেও নতুন এনআরসি হবে।’’
আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মতামত আমরা জানতে চাই। অসম চুক্তিতে অসমের মুখ্যসচিব, দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং সাক্ষী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর সই রয়েছে। তারপরেও সেই চুক্তির প্রামাণ্যতা কি ভাবে অস্বীকার করা হয়?’’