ছবি: রয়টার্স।
বেহাল অর্থনীতির দিকে আঙুল তুলে বিজেপির স্লোগানেই নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন রাহুল গাঁধী।
ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন কর্ণধার সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ১৯৪৭ সালের পরে এ বারই সব চেয়ে কম হতে পারে জিডিপি বৃদ্ধির হার। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই খবর তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা রাহুলের টুইট, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।” অর্থাৎ, মোদী থাকলে, সব সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তিতে শান দিয়ে এই স্লোগান প্রায়ই তোলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, মোদী থাকলে, কিছুই অসম্ভব নয়। তাকেই আজ কটাক্ষ হিসেবে ফিরিয়ে দিয়েছেন রাহুল। বোঝাতে চেয়েছেন, মসনদে কত ‘দক্ষ’ প্রধানমন্ত্রী থাকলে, তবে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সব চেয়ে কম বৃদ্ধির হারের মুখ দেখতে পারে ভারতীয় অর্থনীতি!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই কটাক্ষ মোদীর পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তির। প্রথমত, দেশের অর্থনীতির হাল একেবারেই সুবিধার নয়। নারায়ণমূর্তি তা একা বলেননি। অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও সম্প্রতি বলেছেন, “সমস্ত অর্থনীতিরই খারাপ দশা। ভারতের বিশেষ করে। ২০২০-২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১৯৪৭-এর পরে সর্বনিম্ন হওয়ার সম্ভাবনা। ঔপনিবেশিক আমলেই একমাত্র এর তুলনা মিলত। আস্থার অভাব ও বিভাজন, লগ্নি ও কর্মসংস্থান তৈরিতে বাধা হচ্ছে। বড় মাপের নীতিগত পদক্ষেপ প্রয়োজন।” আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক— প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাসেই চলতি বছরে ভারতীয় অর্থনীতি সঙ্কুচিত হওয়ার সম্ভাবনা।
অর্থনীতির এই বেহাল দশাকে সামনে এনেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নাগাড়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন রাহুল। মনে করিয়ে দিচ্ছেন, করোনার কামড়ের আগে থেকেই ধুঁকছিল অর্থনীতি। বছরে ২ কোটি কাজের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী ক্ষমতায় এলেও, তাঁর ভুল নীতির কারণেই কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। বিজেপির স্লোগানের মুখ মোদীর দিকে ঘুরিয়ে এই আক্রমণও সেই সূত্রেই।