নতুন বিতর্কে এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
মুম্বইয়ের আরিয়ান খান মাদক মামলায় নয়া মোড়। প্রভাকর সেইলের পর এ বার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সাদা কাগজে সই করানোর অভিযোগ করলেন আর এক সাক্ষী শেখর কাম্বলে। পরবর্তীতে যা পঞ্চনামা বা সাক্ষীপত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মুম্বইয়ের খারঘর এলাকা থেকে এক নাইজেরিয় নাগরিককে মাদক মামলায় গ্রেফতার করে এনসিবি। সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে শেখর কাম্বলের। কিন্তু বুধবার তাঁর অভিযোগ, সমীর ওয়াংখেড়ে তাঁকে ১০-১২টি সাদা কাগজে সই করিয়েছেন এবং বলেছেন ভয়ের কোনও কারণ নেই। তাঁর কিছু হবে না। এ কথা বলতে গিয়ে সমীরের সঙ্গে তাঁর ফোনের কথোপকথনের রেকর্ডও দেখান শেখর।
শেখরের আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে তাঁকে এনসিবি-র আধিকারিক পরিচয় দিয়ে অনিল মানে নামে এক ব্যক্তি ফোন করেন এবং কারও সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেন। শেখর বলেন, ‘‘গতকাল আমি টিভিতে এই খবর শুনি। খবরে খারঘর থেকে নাইজেরীয় গ্রেফতারির কথাও বলা হয়। এতেই আমি ভয় পেয়ে যাই। তার পর আমাকে ফোন করেন এনসিবি আধিকারিক অনিল মানে।’’ শেখরের দাবি, আশিস রঞ্জন নামে এক এনসিবি আধিকারিক খারঘরের মামলাটি দেখছিলেন।
এর আগে প্রভাকর সাইল নামে এক সাক্ষীও একই রকম অভিযোগ করেছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল শেখরের নাম।