তামিলনাড়ুর মন্দির শহরে ভগ্নস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
তামিলনাড়ুর মন্দির শহর তিরুভান্নামালাইয়ে সোমবার দুপুরে আবার ধস নামল। ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। তার জেরে রবিবার বিকেলে তিরুভান্নামালাইয়ে ধস নামে। তাতে চাপা পড়ে যায় কয়েকটি বাড়ি, যার মধ্যে একটির ভিতরে ছিলেন একই পরিবারের সাত জন। প্রশাসন সূত্রে খবর, চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জনকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় পুদুচেরির কাছে আছড়ে পড়েছে ফেনজল। তার প্রভাবে তামিলনাড়ু উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টির কারণেই রবিবার বিকেল নাগাদ ধস নামে আন্নামালাইয়ার পাহাড়ের পাদদেশে। তাতেই চাপা পড়ে যায় পর পর কয়েকটি বাড়ি। বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ। এখন পর্যন্ত আটকে পড়া চার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের তিন জনকে উদ্ধার করা যায়নি। তার মধ্যেই সোমবার দুপুরে আবার তিরুভান্নামালাইয়ে মন্দিরের কাছে পাহাড় থেকে ধস নামে।
ফেনজলের প্রভাবে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি, ধর্মপুরীর কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কৃষ্ণগিরিতে বৃষ্টি হয়েছে ৫০ সেন্টিমিটার, ভিল্লুপুরমে বৃষ্টি হয়েছে ৪২ সেন্টিমিটার, হারুরে বৃষ্টি হয়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, উঠানগিরিতে টানা বৃষ্টির কারণে জলস্রোতে ভেসে যাচ্ছে বাস (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। তামিলনাড়ুর পাশাপাশি উত্তর কেরল এবং দক্ষিণ কর্নাটকেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর কেরল এবং কর্নাটকের উপর দিয়ে আরব সাগরের দিকে যাবে নিম্নচাপ।
শনিবার ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরে টানা বৃষ্টি হয়েছে চেন্নাইয়ে। সোমবারও বিপর্যস্ত শহরের বেশ কিছু এলাকা। বিমানবন্দরের একাংশে জল জমেছে। বেশ কিছু বিমান বাতিল হয়েছে। এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।