ভারতীয় নৌসেনার হাতে আগেই এসেছে আইএনএস কমোর্টা, আইএনএস কদমত্তের মতো স্টেল্থ করভেট। এ বার সেই সংখ্যা আরও বাড়ল। ছবি: রয়টার্স।
ভারতীয় নৌসেনার অ্যান্টি-সাবমেরিন সক্ষমতায় আরও বৃদ্ধি। আইএনএস কদমত্ত এবং আইএনএস কমোর্টার পরে নৌসেনার হাতে এল আইএনএস কিলটান। ভারত মহাসাগরের বিশাল বিস্তারে প্রতিপক্ষ নৌসেনার ডুবোজাহাজের দাপট নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে কলকাতায় তৈরি স্টেল্থ করভেট গোত্রের এই রণতরী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই রণতরী তুলে দিলেন নৌসেনার হাতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।
বিশাখাপত্তনম নৌঘাঁটি থেকে আজ বাহিনীতে কমিশনড হয়েছে আইএনএস কিলটান। অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধবিগ্রহের জন্যই এই রণতরী তৈরি করা হয়েছে। আইএনএস কিলটান একটি স্টেল্থ করভেট। অর্থাৎ ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন যেমন রেডারকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে হানা দেয়, তেমনই এই স্টেল্থ করভেটও প্রতিপক্ষের সাবমেরিনকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে এবং অতর্কিতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: উপহার-ডালি নিয়ে কাঠমান্ডু যাচ্ছেন মোদী
কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি হয়েছে। চিনা নৌসেনার সাবমেরিনগুলি ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় যে ভাবে লুকিয়ে হানা দিচ্ছে মাঝেমধ্যেই, তা ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে খুব স্বস্তির বিষয় নয়। আন্দামান সাগরেও বেশ কয়েক বার গোপনে হানা দিয়েছে চিনা ডুবোজাহাজ। তাই ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী সক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে তোলা ভারতের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। চিনের ক্রমবর্ধমান সাবমেরিন বহর এবং আরও নানা রণকৌশলগত বিষয় মাথায় রেখেই চারটি অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্টেল্থ করভেট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেগুলির মধ্যে আইএনএস কমোর্টা এবং আইএনএস কদমত্ত আগেই নৌসেনায় কমিশনড হয়েছিল। এ বার তৃতীয়টিও হাতে পেয়ে গেল বাহিনী।
আরও পড়ুন: তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির কলঙ্ক! ফের বিতর্কে বিজেপি
আইএনএস কিলটান বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ চালাতে সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই রণতরী থেকে হেভি ওয়েট টর্পেডো এবং এএসডব্লিউ রকেট নিক্ষেপ করা যায়। ৭৬ মিলিমিটার ক্যালিবারের মিডিয়াম রেঞ্জ গান এবং ৩০ মিলিমিটারেরর ইউপন সিস্টেমও রয়েছে আইএনএস কিলটানে।