অঙ্কিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন। ফাইল ছবি।
থানায় বসে অঙ্কিতার বাবাকে মারতে গিয়েছিলেন পুলকিত আর্য? একটি সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছেন উত্তরাখণ্ড রিসর্ট কাণ্ডে মৃত অঙ্কিতার বাবা বীরেন্দ্র ভাণ্ডারি। এ দিকে রবিবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ১৯ বছরের অঙ্কিতার।
অঙ্কিতা হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি করলেন বাবা বীরেন্দ্র। একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, থানায় উপস্থিত সকলের সামনে তাঁকে মারতে গিয়েছিলেন রিসর্ট মালিক পুলকিত। তিনি বলেন, ‘‘১৮ তারিখ রাত সাড়ে ৮টা থেকে মেয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে তাই আমি থানায় গিয়েছিলাম। ১৯ তারিখ আমি যখন থানায় পৌঁছই তখন দেখি পুলকিত আর্য আর অঙ্কিত সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত। মেজাজ ঠিক রাখতে পারিনি। তার পরই ওঁরা আমাকে মারতে চলে আসে। ওদের ফাঁসি চাই।’’
এ দিকে রিসর্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অঙ্কিতার পরিবার। রিসর্টে সাক্ষ্য প্রমাণ মুছতেই তড়িঘড়ি তা ভেঙে দেওয়া হল বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। পৌড়ী গঢ়বালের এএসপি শেখর সুয়াল বলেন, ‘‘কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, রিসর্টে সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল। ভেঙে দেওয়ার ফলে তা নষ্ট হয়েছে। আমরা জানাতে চাই, ২২ সেপ্টেম্বরই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তখন ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সমস্ত কিছু সরেজমিনে ঘুরে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে এনেছিলেন।’’
রবিবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অঙ্কিতার। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। অঙ্কিতার পরিবার প্রাথমিক ভাবে শেষকৃত্যে আপত্তি করলেও পরে প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে দাহ করতে সম্মতি দেয়। যদিও অঙ্কিতার চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দাবিতে দীর্ঘ ক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন তাঁর পরিজনেরা। পরে অঙ্কিতার বাবার অনুরোধে তা তুলে নেওয়া হয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি জানিয়েছেন, অঙ্কিতার খুনে দোষীদের ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি করে শাস্তি দেওয়া হবে। যদিও অঙ্কিতার বাবা এখনও দোষীদের ফাঁসির দাবিতেই অনড় রয়েছেন।