ছবি পিটিআই।
পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে পুরীতে নিরাপদে রথযাত্রা করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে কথা দিয়েছিল ওড়িশা এবং কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মঙ্গলবার মন্দির-শহরে যে ছবি দেখা গেল, তাতে প্রশ্ন উঠেছে, করোনা-আবহে স্বাস্থ্যবিধি মানা হল কতটা! রথযাত্রা কী ভাবে করা যাবে তা নিয়ে শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডেকে ই-মেল করে এই অভিযোগ জানিয়েছে ভারতীয় বিকাশ পরিষদ নামে একটি সংগঠন।
মন্দির থেকে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার রথারোহণ বা ‘পাহুন্ডি বিজে’ এবং রথযাত্রার ফুটেজ-সহ এই অভিযোগ করেছেন সংস্থার ওড়িশার সভাপতি সুরেন্দ্র পাণিগ্রাহী। পাশাপাশি, টুইট করেও তিনি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওড়িশা সরকার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ওড়িশার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তথা জগন্নাথ মন্দির ম্যানেজিং কমিটির ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান সুরেশ মহাপাত্র আনন্দবাজারকে বলেন, “পাহুন্ডি বিজের প্রাচীন পরম্পরা ও পদ্ধতি পাল্টানো সম্ভব ছিল না। শ্রীবিগ্রহ কোলে করে রথে তোলার সময়ে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। তাই সেবায়েতরা কোভিড-মুক্ত এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।”
সুরেশ আরও বলেন, “নজিরবিহীন ভাবে এ বার রথে গুটিকয়েক পুলিশ-সহ সর্বাধিক দশ জন সেবায়েত প্রথামাফিক ঘণ্টা, শিঙা বা সারথির কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন। রথ টানার সময়ে দূরত্ব ছিল। সুপ্রিম কোর্ট সর্বাধিক ৫০০ জনকে এক-একটি রথ টানার অনুমতি দিলেও ৪০০ জনের বেশি রথ টানেননি।”
আগামী সপ্তাহে জগন্নাথের বাহুড়া যাত্রা (উল্টোরথ)-এর আগে রথযাত্রার সঙ্গে যুক্ত আরও পাঁচ-ছ’হাজার জনের কোভিড-পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন সুরেশ। তাঁর কথায়, ‘‘রথের দিন ডিউটিতে থাকা পুলিশ, পুরকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, সেবায়েত সবারই কোভিড-পরীক্ষা হবে। কারা কোভিডমুক্ত নিশ্চিত হয়েই উল্টোরথের ডিউটি ঠিক করা হবে।”
এ দিন সন্ধ্যায় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে ফের পাহুন্ডির মাধ্যমে গুন্ডিচা মন্দিরে স্থাপন করা হয়।
৪ জুলাই নীলাদ্রি বিজের অনুষ্ঠানের পরে তাঁদের শ্রীমন্দিরে ফেরার কথা। গুন্ডিচা মন্দির আপাতত দুর্গের মতো ঘিরে রেখেছে প্রশাসন।