Auto Thief

যেন সিনেমা! প্লাস্টিক সার্জারি করে একের পর এক গাড়ি চুরি

তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে, গ্রেফতারি এড়িয়ে, চুরির কাজ করে যেতেই কুণাল বছর চারেক আগে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ‘মুখ-বদল’ করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৩:৩২
Share:

কুণাল। ভোলবদলের পরে এবং আগে। ছবি দিল্লি পুলিশের টুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

গাড়ি চুরি করাটাই তার পেশা। গত কয়েক বছরে ৬২টি গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রথম থেকেই পুলিশ কুণাল নামের ওই চোরকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু, কোনও ভাবেই সন্ধান মিলছিল না। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু, গ্রেফতার করার পর পুলিশের চক্ষু তো ছানাবড়া! তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে, গ্রেফতারি এড়িয়ে, চুরির কাজ করে যেতেই কুণাল বছর চারেক আগে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ‘মুখ-বদল’ করেছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন
১ কোটি ঘুষ দিতে চেয়েছিল বিজেপি, অভিযোগ পটেল নেতার

যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। রবিবার দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রমিল বানিয়া জানান, দক্ষিণ দিল্লির নেহরু প্লেস থেকে বাড়ি থেকে গত ১৩ অক্টোবর রাতে আরও দু’জনের সঙ্গে কুণালকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরায় কুণাল জানিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই সে গাড়ি চুরির কাজ করত। এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সম্প্রতি সে মুখের প্লাস্টিক সার্জারিও করায়। পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে গত কয়েক বছরে ৬২টি গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে কুণালের বিরুদ্ধে। প্রথম থেকেই তারা তাকে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, একটা সময়ের পর কুণালের কোনও হদিশ মিলছিল না। কেন মিলছিল না, তার কারণ এখন পুলিশের কাছে স্পষ্ট।

Advertisement

গ্রেফতারির পর কুণাল এবং তার সহযোগীরা। ছবি দিল্লি পুলিশের সৌজন্যে।

তাদের আরও দাবি, এই কাজে তাকে তার বান্ধবী সাহায্য করত। পুলিশ যদিও সেই বান্ধবীর সন্ধান এখনও পায়নি। কুণালরা যাদের কাছে ওই গাড়ি বিক্রি করত তেমনই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম, ইরশাদ আলি এবং মহম্মদ শাদাব। কুণালকে জেরা করেই ওই দু’জনের সন্ধান মিলেছে। তারা কুণালদের কাছ থেকে চুরি করা গাড়ি কিনত। এবং সেই গাড়ি পরে ফের বাজারে বিক্রি করত।

আরও পড়ুন
পর্দায় জিএসটি-র নিন্দা করে গৈরিক কোপে ‘মের্সাল’

কুণালকে গ্রেফতারির সময় ১২টি চোরাই গাড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, গাড়ি চুরির পর তার নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর থেকে শুরু করে সব তথ্য বদলে ফেলত কুণাল। কী ভাবে? পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার পর কোনও গাড়ি ‘ধ্বংস’ হিসাবে ঘোষণার পর বিমা কোম্পানিগুলি সেগুলিকে ‘টোটাল লস ভেহিকল’ হিসাবে চিহ্নিত করে। কুণালরা সেই গাড়িগুলির সমস্ত তথ্যই চোরাই গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যবহার করত। এবং তা বাজারে বিক্রি করে দিত তার সহযোগীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement