প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য চিঠি বিলি হয়নি ওডিশার এক গ্রামে। প্রতীকী ছবি।
বহু বার চিঠি লেখার পরেও প্রেমিকের সাড়া পাননি? অথবা আবেদন করেও চাকরি পাননি? যদি ওই চিঠিগুলি ওডিশায় পাঠিয়ে থাকেন, তবে হয়তো এমনটাও হতে পারে, ওই চিঠিগুলি গন্তব্যেই পৌঁছয়নি! সৌজন্যে, ওডিশার এক সহকারী পোস্টমাস্টার। আপনার লেখা চিঠি বিলি করার ইচ্ছাই হয়নি তাঁর।
একটা-দুটো নয়, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য চিঠি বিলি না করে পোস্ট অফিসেই ফেলে রেখেছিলেন ওই পোস্টমাস্টার। নয়-নয় করে সে চিঠির সংখ্যা পেরিয়েছে ৬ হাজারেরও উপরে! ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার অভিযুক্ত জগন্নাথ পুহানকে বরখাস্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ওডিশার কেন্দুঝড় জেলার ওধঙ্গ গ্রামের ওই ঘটনার কথা আচমকাই প্রকাশ্যে আসে। ওই গ্রামের পোস্ট অফিসের পরিত্যক্ত গুদামঘরের ভিতরে খেলাধুলো করছিল স্কুলপড়ুয়ারা। হঠাৎই তাদের নজর যায় ধুলোমাখা বড় বড় বস্তার দিকে। তার ভিতর থেকে উঁকি মারছে অসংখ্য পুরনো চিঠিপত্র। কাছে গিয়ে ভাল করে দেখার পর বস্তার মধ্যে থেকে বার হয় অজস্র এটিএম কার্ড-পাসবই। এর পরই গোটা ঘটনার কথা নিজেদের বাড়ির লোকজনকে জানায় ওই পড়ুয়ারা। সাড়া পড়ে যায় গোটা গ্রামে। পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ৬ হাজারের উপরে চিঠি পড়ে রয়েছে গুদামঘরের বস্তাগুলিতে। তার মধ্যে মাত্র দেড় হাজার চিঠিই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বাকিগুলির কিছুটা উইপোকায় খেয়েছে অথবা ঝড়জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই অক্ষত চিঠিগুলির মধ্যে রয়েছে চাকরির আবেদনপত্র থেকে শুরু করে বিমার চিঠিও।
আরও পড়ুন: আশুতোষের ইস্তফা গ্রহণ করলেন না কেজরীবাল
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়ির সামনে এসে পড়ল ‘ভূত’! দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
গোটা ঘটনার পিছনে কার হাত রয়েছে তার খোঁজখবর শুরু হয়। শেষমেশ জানা যায়, ওই পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা জগন্নাথই এর জন্য দায়ী। একমাত্র রেজিস্টার্ড বা স্পিড পোস্ট ছাড়া গত ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ ডাকে আসা কোনও চিঠিই বিলি করেননি তিনি। এর কারণ জানিয়েছেন জগণ্ণাথ। তিনি বলেন, “ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারি না। তাই ওই চিঠিগুলি বিলি করার অবস্থায় ছিলাম না!”