প্রতীকী ছবি।
সনাতন হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী চিতার কাঠে নয়, বরং কবরেই ‘দাফন’! মৃত্যুর আগে এটাই অন্তিম ইচ্ছা ছিল বছর বিরাশির বৃদ্ধের। সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে গত সোমবার ঝাঁসির জেওয়ানশাহ কবরে তাঁর দেহ সমাধিস্থ করেন পরিবারের লোকজন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং হিন্দু-মুসলিম সংঘাতের আবহে এই ঘটনা রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
আরও পড়ুন: গোঁফ রাখায় এ বার দলিতের পিঠে ব্লেড! গোঁফেতেই প্রতিবাদ গুজরাতে
উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা মদনমোহন যাদব। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে ‘দাউ সামোসাওয়ালা’ নামে। সুস্বাদু শিঙাড়া বিক্রি করার জন্য এলাকাতে যথেষ্ট পরিচিত তিনি। পাঁচ দশকেরও বেশি তাঁর শিঙাড়ার দোকান রমরম করে চলছে এলাকায়। তাঁর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বভাবসিদ্ধ ভাবে নরম মনের এবং উদারমনস্ক মদন বরাবরই এলাকায় হিন্দু এবং মুসলিমদের এক নজরে দেখে এসেছেন। দুই ধর্মের প্রতিই তাঁর ছিল অগাধ শ্রদ্ধা। মদনের বড় ছেলে অশোক যাদব জানিয়েছেন, তাঁর বাবা মন্দিরের পাশাপাশি নিয়মিত দরগায় যেতেন। পবিত্র রমজান মাসে স্থানীয় মসজিদে তাঁর দোকানের শিঙাড়া পাঠাতেন। নিজের ধর্মীয় পরিচয় ভুলে সকলকে যত্ন করে খাওয়াতেন। শিঙাড়া খাইয়ে বহু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের রোজা ভাঙিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছেলের হাতে খুন হরিয়ানা পুলিশের এএসআই
অশোকের কথায়, ‘‘বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর তাঁকে যেন কবর দেওয়া হয়। আমরা আপত্তি করিনি। তাঁর ইচ্ছা পূরণ করেছি।’’ কবরস্থানে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শীর জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ‘দাউ সামোসাওয়ালা’।