নিহত পুলিশ আধিকারিক পারভেজ আহমদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
তিন দিনের সফরে শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৯-এর অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীর সফরে গেলেন শাহ। শ্রীনগর বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা।
শ্রীনগরে পা রেখেই শাহ দেখা করতে যান জম্মু-কাশ্মীরের নিহত পুলিশ আধিকারিক পারভেজ আহমদের পরিবারের সঙ্গে। কয়েক দিন আগেই জঙ্গিদের হাতে নিহত হন এই পুলিশ আধিকারিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পারভেজের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁকে চাকরির প্রস্তাবও দেন। তিনি বলেন, “এই পুলিশকর্মীর আত্মবলিদান মনে রাখবে গোটা দেশ।”
অক্টোবরের গোড়া থেকে উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন সাধারণ নাগরিক। হামলা চালানো হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরও। এমন একটা আবহে জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করতে পারেন শাহ। এই আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য হয়ে উঠতে পারে অনুপ্রবেশ।
রবিবার জম্মুতে একটি জনসভা করার কথা রয়েছে শাহের। সোমবার গ্রামপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর দিল্লি ফিরে আসবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজভবন এবং শ্রীনগরের গুপকার রোড। মোতায়েন করা হয়েছে স্নাইপার, শার্পশ্যুটারদের। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক পর পর জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তাকে আরও আঁটোসাটো করা হয়েছে।
কাশ্মীরে সেনা যখন জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে বার করে খতম করছে, সেই সময়ই সাধারণ নাগরিকদের তাদের শিকারের লক্ষ্য বানাচ্ছে জঙ্গিরা। যা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দু’সপ্তাহে ১১টি সংঘর্ষে ১৭ জন জঙ্গিকে খতম করেছে যৌথবাহিনী।