কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব বুঝে নিলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির রাইসিনা হিলে প্রথম বারের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হচ্ছে বলে শুক্রবারই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দফতরের দায়িত্ব হাতে নিলেন তিনি।
এ দিন সকালে নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সদর দফতরে পৌঁছলে অমিত শাহকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা এবং অন্য আধিকারিকরা। তার পর দুপুর নাগাদ নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।
সেই আটের দশক থেকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অমিত শাহের। মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। এমনকি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পর দলের হয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্তও তিনিই নিতেন। তাই দ্বিতীয় বার বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর, শাহ-র হাতে গুরুত্বপূর্ণ দফতর যে উঠবে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। প্রত্যাশা মতোই, শুক্রবার তাঁর হাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব তুলে দিয়ে, বকলমে শাহকে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দু’নম্বর করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: ৫২ সাংসদ নিয়েই বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, বার্তা রাহুলের
অন্য দিকে, প্রথম দফায় মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিংহ। অমিত শাহকে তুলে এনে তাঁকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে সরিয়ে এনেছেন নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক— মোদীর এই বিগ ফোরে যদিও জায়গা পেয়েছেন রাজনাথ। নিরাপত্তাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণও থাকবে তাঁর। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন অমিত শাহই। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান ও চিন-সহ পড়শি দেশগুলি এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তিনি। শরণার্থী প্রবেশ রুখতেও কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসন জিতলেই খেয়াল খুশি মতো চলা যায় না, মন্তব্য ওয়েইসির
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে জম্মু-কাশ্মীরই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের সামনে। নির্বাচনের আগে একাধিক বার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ক্ষমতায় এলে উপত্যকার জন্য সংরক্ষিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তা নিয়ে আগেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি-সহ কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হলে উপত্যকায় আগুন জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন অমিত শাহ, সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।