ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে ত্রিপুরার বামনেতাদের নিশানা করলেন অমিত শাহ। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিজেপি সভাপতি বললেন, ‘‘সাহস থাকলে ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা লোপাটের অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দিন।’’ তাঁর অভিযোগ, বাম-আমলেই ত্রিপুরায় ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির ব্যবসা বেড়েছে।
রবিবার ত্রিপুরার কুমারঘাটে এক জনসভায় তিনি আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের দিকেও। অমিতের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ করছেন না বলেই রাজ্যে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ক্রমবর্ধমান।’’ রাজ্যে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রের টাকা সিপিএমের নেতা-কর্মীদের একাংশ ‘খেয়ে’ ফেলছেন বলে মন্তব্য করেন অমিত। তাঁর মতে, সে জন্যই রাজ্যে উন্নয়নের গতি শূন্যতে ঠেকেছে। এ সব থেকে মুক্তির ‘উপায়’ও রাজ্যবাসীকে জানিয়েছেন তিনি।
অমিতের কথায়, ‘‘একমাত্র মোদী-মডেলই দুর্নীতি হঠিয়ে ত্রিপুরাকে উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে জিতলেই বিজেপি ওই পদক্ষেপ করবে।’’ উপজাতিদের মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, ‘‘বিজেপি-শাসিত গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রেও প্রচুর উপজাতি মানুষের বসবাস। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যের মতো পরিষেবা উপজাতি-প্রধান প্রতি গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’’ জনসভায় অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রাহুল সিংহও ছিলেন।
এ দিন বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে রাজ্যবাসীকে শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন অমিত শাহ।’’