Election

প্রাক্তন সেনাকর্তার বাড়িতে ‘জনসম্পর্ক’ অমিতের 

এক-একজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ব্যক্তিকে বিজেপির ভাবধারায় টেনে আনার। বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে বিজেপি-বিরোধী বিদ্বজ্জনদের কাছে পৌঁছানোর জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৮ ০৩:৫০
Share:

লোকসভার আগে দেশবাসীর মনে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক ছবিটি তুলে ধরতে জনসম্পর্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীরা। দলীয় ওই উদ্যোগ সফল করতে আজ মাঠে নামলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দেখা করলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগ ও লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপের সঙ্গে। গত চার বছরে মোদী সরকারের সাফল্যের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে ওই দু’জনকে বোঝান অমিত শাহ। তাঁদের হাতে তুলে দেন সরকারের কাজের ফিরিস্তি দেওয়া প্রচারপুস্তিকাও।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচন ও কর্নাটকের ব্যর্থতার পরে বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ হল, আগের চেয়ে জনভিত্তি কিছুটা হলেও নড়ে গিয়েছে। ‘অচ্ছে দিনে’র স্বপ্নে আর বিশ্বাস করতে রাজি নন আমজনতার বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে যারা দল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন বা যারা নীতিগত ভাবে বিজেপি-বিরোধী এমন ভোটব্যাঙ্ককে পাশে টানতে তৎপর হয়েছে দল। হাতে নেওয়া সম্পর্কের মাধ্যমে সমর্থন কর্মসূচি। ওই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রীরা রাজ্য বিজেপি সভাপতি, পঞ্চায়েতের সদস্য-সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার দলীয় কর্মীকে চিহ্নিত করেছে দল। এক-একজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ব্যক্তিকে বিজেপির ভাবধারায় টেনে আনার। বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে বিজেপি-বিরোধী বিদ্বজ্জনদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। আজ জনসম্পর্ক প্রচারের বার্তা দলের সর্ব স্তরে ছড়িয়ে প্রথমে সুহাগ ও পরে সুভাষ কাশ্যপের সঙ্গে দেখা করেন অমিত। সূত্রের খবর, জনভিত্তি বাড়াতে বিজেপিকে ওই প্রচার চালাতে নির্দেশ দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। কারণ সঙ্ঘ পরিবার মনে করছে, গত চার বছরে গদিতে থাকার সুবাদে আমজনতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছে দল।

সঙ্ঘ এ-ও মনে করছে, সরকারের একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফলও যথাযথ ভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। উল্টে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দেওয়া টাকায় ফায়দা তুলে নিচ্ছে রাজ্যের শাসনে থাকা বিরোধী বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement